ঘূর্ণিঝড়ের থেকে এখন নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে যশ। কিন্তু তবুও যশের ভ্রূকুটিতে বৃষ্টির পরিমাণ কিন্তু একেবারেই কমতে চাইছেনা। তার পরিপ্রেক্ষিতে এবারে বাংলা এবং সিকিম সহ চার রাজ্যে জারি করা হয়েছে লাল সর্তকতা। ঘূর্ণিঝড়টি ক্রমশ গভীর থেকে আরও গভীরতর নিম্নচাপের আকার ধারণ করেছে এবং ইতিমধ্যে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু জায়গায় শুরু করে দিয়েছে বৃষ্টিপাত।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মালদহ এবং ইংলিশ বাজারের বিস্তীর্ণ এলাকা ইতিমধ্যেই একেবারে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। যশের সর্তকতা জারি করা হয়েছে চার রাজ্যে। ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, বর্তমানে বিহার এবং পূর্ব উত্তর প্রদেশের উপরে অবস্থান করছে এই যশ ঘূর্ণিঝড়। ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে এই সমস্ত জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বাংলার ৯ জেলায় শুরু হয়েছে ব্যাপক বৃষ্টি। কার্যত প্রায় বন্যা পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গের এই কয়েকটি জেলায়।
উত্তরবঙ্গে বেশকিছু জেলা এবং কলকাতার আশেপাশে কিছু অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের বেশকিছু জেলায় এবং বিহার ও সিকিমে শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টিপাত। মালদা শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা জলে ডুবে গিয়েছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিতর জল ঢুকে গিয়ে পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ইংলিশ বাজারের বিভিন্ন জায়গাতে।
শুধুমাত্র উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোতে নয়, তাছাড়াও পাহাড়ের বেশকিছু জায়গাতে বৃষ্টি হয়েছে। দার্জিলিঙে ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে এবং সেই কারণে ধ্বস নেমেছে দার্জিলিং এর বেশ কিছু জায়গায়। পাহাড়ি রাস্তায় জল বাড়তে শুরু করায় এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে আবার বন্যা পরিস্থিতি সামলানোর জন্য, জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ। যশ ঘূর্ণিঝড় বর্তমানে যে আকৃতির একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, সেই নিরিখে দেখতে গেলে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা এখনো রয়ে গিয়েছে বেশ কিছু জায়গায়।