দেশনিউজ

গঙ্গার পর উন্নতির পথে যমুনার জল

Advertisement

শ্রেয়া চ্যাটার্জি – লকডাউন এর ফলে দিল্লির দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমেছে। তার সাথে সাথে ওখলা ব্যারেজ (আগ্রা ক্যানেল) এ যমুনা নদীর ৩৩% দূষণ কমলেও এখনও সন্তোষজনক ফল পাওয়া যায়নি। দিল্লি পলিউশন কন্ট্রোল কমিটি থেকে এখন আলাদা আলাদা জায়গা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করে বিষয়টিকে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এতটা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হওয়ার কারণ হচ্ছে প্রতিদিন বিশাল পরিমাণ শুদ্ধ জল এই জায়গার মধ্যে দিয়ে যেতে পারছে, তার কারণ হলো লকডাউনের জন্য কলকারখানা, শিল্প কার্যত বন্ধ, যার ফলে কলকারখানার বর্জ্য পদার্থ নদীতে এসে মিশছে না। শুধুমাত্র পাল্লা এবং সুরঘাট এলাকার জল স্নান করার উপযুক্ত রয়েছে, এমনটাই জানানো হচ্ছে দিল্লি পলিউশন কন্ট্রোল কমিটি থেকে। নটি জায়গা ছাড়াও আরো কুড়িটি জায়গা থেকে জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে যেখানে নর্দমার জল এসে নদীতে পড়ে।

অফিসাররা আরও জানিয়েছেন, দিল্লিতে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হওয়ার ফলে পরিশুদ্ধ জল এত পরিমাণে বয়ে যাওয়ার ফলে যতটুকু নোংরা ছিল তাও ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাচ্ছে। আই.টি.ও ব্রিজের কাছেও জল দূষণ প্রায় ২১% কমেছে। তবে কোনরকম তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি কুদেশিয়া ঘাটে। কিন্তু খাজঝুড়ি পালতুন পুল এ দূষণের মাত্রা প্রায় ৪২ শতাংশ বেড়ে গেছে।

বিভিন্ন জায়গার নর্দমা গুলি থেকেও বর্জ্র পদার্থ আসার পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে, যথা নাজাফগার ড্রেন (২২%),বারাপুল্লাহ ড্রেন (৩২%), আইএসবিটি ড্রেন (৬৮ %),শাহদারা ড্রেন (৩৩%), সিভিল মিল ড্রেন (৮০%)। দ্য নেশনাল গ্রীন ট্রাইবুনাল তাদের দুজন সদস্যকে যমুনা পরিদর্শনের জন্য পাঠিয়েছে। যমুনা নদীর এইভাবে সেরে ওঠা থেকে বোঝা যাচ্ছে কারখানার বর্জ্র পদার্থ এবং শিল্পের ক্রমশ উন্নতি নদীকে ক্রমাগত কিভাবে ক্ষতিকারক করে তুলছিল। তার সাথে সাথে নদীর ক্রমাগত বহমানতার ওপরেও উপরেও তারা জোর দিয়েছেন।

Related Articles

Back to top button