নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম ক্রমশ বাড়লেও অনেকের আয় সেইভাবে বাড়ছে না। ভালো মাইনের চাকরিও সহজে মিলছে না, তাই অনেকে এখন নিজের ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা করছেন। এমন একটি ব্যবসা রয়েছে, যা শুরু করলে প্রতি মাসে ৫০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ টাকা বা তারও বেশি আয়ের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
বর্তমানে ভারতজুড়ে লক্ষ লক্ষ বাইক বিক্রি হচ্ছে, ফলে বাইক সার্ভিসিং ও রিপেয়ারিংয়ের চাহিদাও ব্যাপকভাবে বাড়ছে। যারা বাইকের মালিক, তারা জানেন—সকাল সকাল সার্ভিসিং সেন্টারে না গেলে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। তাই যদি সঠিক লোকেশনে একটি বাইক সার্ভিস সেন্টার খোলা যায়, তাহলে ভালো উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
কীভাবে শুরু করবেন?
১. সঠিক লোকেশন বাছাই করুন:
বাইক সার্ভিস সেন্টারের জন্য প্রধান সড়ক বা ব্যস্ত রাস্তার পাশে একটি বড় দোকান নিতে হবে। দোকানের সামনে খোলামেলা জায়গা থাকা জরুরি, যাতে একসঙ্গে একাধিক বাইক রাখা ও কাজ করা যায়।
২. প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সংগ্রহ করুন:
বাইক সার্ভিসিংয়ের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম কিনতে হবে। এটি একবারের জন্য একটি বড় বিনিয়োগ হলেও, দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক হবে।
৩. দক্ষ কর্মী নিয়োগ করুন:
অন্তত ২ জন অভিজ্ঞ মেকানিক এবং ৩-৪ জন সহকারী রাখতে হবে, যাতে প্রতিদিন বেশি সংখ্যক বাইকের কাজ করা সম্ভব হয়।
৪. মার্কেটিং ও প্রচার করুন:
সার্ভিস সেন্টার চালু হলে দোকানটি আকর্ষণীয়ভাবে সাজিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে কিছু বিজ্ঞাপন করতে হবে, যাতে গ্রাহকরা সহজেই জানতে পারেন।
বিনিয়োগ ও সম্ভাব্য আয়
– ভালো লোকেশনে দোকান ভাড়া ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা হতে পারে।
– প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির জন্য এককালীন কিছু বিনিয়োগ করতে হবে।
– গড়ে যদি প্রতি বাইক সার্ভিসিং থেকে ৩০০ টাকা লাভ হয় এবং প্রতিদিন ৩০টি বাইক সার্ভিস করা যায়, তাহলে মাসিক আয় দাঁড়াবে প্রায় ২,৭০,০০০ টাকা।
– কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য খরচ বাদ দিলে সহজেই ১.৫ লক্ষ বা তার বেশি টাকা লাভ করা সম্ভব।
এছাড়া, ব্যবসা যত বাড়বে, লাভের পরিমাণও তত বৃদ্ধি পাবে। সঠিক পরিকল্পনা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বাইক সার্ভিস সেন্টার একটি লাভজনক উদ্যোগ হতে পারে!