নয়াদিল্লি: যুব সম্প্রদায়ই দেশের ভবিষ্যৎ এক থাকে সত্যি প্রমাণ করতে নয়া উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। দেশের স্টার্টআপ (Startup) ব্যবসা ও উদীয়মান উদ্যোক্তাদের সমর্থন করতে এবার “স্টার্টআপ ইন্ডিয়া সিড তহবিল” (Startup India seed Fund) চালু করার ঘোষণা করলেন তিনি। একইসঙ্গে জানালেন, দেশের নতুন নতুন উদ্যোগকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে এই তহবিলে খরচ করা হবে এক হাজার কোটি টাকা।
শনিবার “প্রারম্ভ: স্টার্টআপ ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সামিট”-এ ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগদান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেই অনুষ্ঠানেই তিনি এক হাজার কোটি টাকার এই তহবিলের ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “এই অর্থ দেশের নতুন স্টার্টআপ ব্যবসাগুলিকে তৈরি হতে ও বাড়তে সাহায্য করবে।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালে ইউনিকর্ন ক্লাবে মাত্র ৪টি স্টার্টআপ ছিল, বর্তমানে তা বেড়ে ৩০ পেরিয়েছে। কেবল ২০২০ সালেই ১১টি স্টার্টআপ ইউনিকর্ন ক্লাবের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। স্টার্টআপের জন্য উপযুক্ত পরিবেশের নিরিখে বিশ্বের তালিকায় ভারতের অবস্থান তৃতীয় স্থানে। বর্তমানে দেশে প্রায় ৪১ হাজারেরও বেশি স্টার্টআপ রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আজ থেকেই দেশে ‘ইভোলিউশন অব স্টার্ট আপ’ নামে এক বুকলেট চালু করা হচ্ছে। পাঁচ বছরে ভারতের স্টার্ট আপের যাত্রা দেখুন। ৪১ হাজারের বেশি স্টার্টআপ তৈরি হয়েছে। ৫০ শতাংশ স্টার্টআপের অংশ দেশের মহিলারা। সাধারণ ঘরের যুবকেরাও এতে এংশ নিচ্ছে। করোনা কালে স্টার্টআপগুলি আত্মনির্ভর ভারতের সূচনায় কাজ করেছে।
স্যানিটাইজার থেকে শুরু করে পিপিই কিট, সবই স্টার্ট আপের মাধ্যমেই তৈরি হয়েছে। রান্নাঘরের জিনিস থেকে স্বাস্থ্যক্ষেত্র- সর্বত্রই স্টার্টআপগুলি কাজ করেছে।”
দেশে স্টার্টআপ ব্যবসাগুলির সাফল্যের খতিয়ান দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, “আজ স্টার্ট আপের সাফল্য কেবল শহরে নয়, গ্রাম এবং মফস্বলেও ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে ভারতের প্রতিটি রাজ্যই স্টার্টআপ মিশনের অন্তর্গত। দেশের মোট স্টার্ট আপ ব্যবসার মধ্যে ৪৫ শতাংশ এসেছে শহরগুলি থেকে। কৃষি ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে এক লাখ ইনফ্রা-ফ্যাক্টরি বানানো হয়েছে। স্টার্ট আপ নতুন পদ্ধতির জন্ম দেয়। ভারতের ৮০ শতাংশ জেলা এর সঙ্গে যুক্ত।”
দেশের স্টার্টআপ ব্যবসাগুলিকে গোটা বিশ্বের কাছে তুলে ধরার স্বপ্নের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “গত ডিসেম্বর মাসেই ৪ লক্ষ কোটি টাকাও বেশি এই খাতে খরচ হয়েছে। ডাইরেক্ট বেনেফিট ট্রান্সফারের সাহায্যে আর্থিক লেনদেন আরও সহজে ও সরাসরি হচ্ছে। ফলে প্রতিবছর প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা সঞ্চয় হচ্ছে। ৮ হাজার স্টার্টআপ জেম পোর্টালে নথিভুক্ত হয়েছে। এরফলে স্টার্টআপগুলি বড় সংস্থার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে।”
স্টার্ট-আপ ইন্ডিয়া সিড তহবিল চালুর ঘোষণা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের বিভিন্ন স্টার্ট-আপে আর্থিক সাহায্য করতে মোট এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হল। ইকুইটি ক্যাপিটাল বৃদ্ধি করতেই এই পদক্ষেপ। এই নতুন স্টার্ট আপ ইকো সিস্টেম ‘অব দ্য ইয়ুথ, বাই দ্য ইয়ুথ, ফর দ্য ইয়ুথ’ হবে। আমি চাই, আমাদের দেশ স্টার্ট আপে নেতৃত্ব দিক এবং গোটা বিশ্বের কাছে নজির হয়ে উঠুক।”