প্রতি বছর দূষণের মাত্রা কমানোর জন্য বৃক্ষরোপণ থেকে শুরু করে নানান কর্মসূচি করা হয় সরকার থেকে। কিন্তু কোনঅংশে দূষণের মাত্রা কমানো যায়নি, বরং দূষণ দিন দিন বেড়েই চলেছে মানুষের নিত্যদিনের কার্যক্রমের জন্য।
লাগামছাড়া দূষণের কারণে গাঙ্গেয় সমভূমি অঞ্চলে বসবাসরত মানুষের গড় আয়ু ৭ বছর কমে যাচ্ছে, ইদানিং একটি রিপোর্ট থেকে এমনটাই জানা গিয়েছে। গোটা দেশের মধ্যে তিনগুণ ভয়ঙ্কর দূষণ উত্তর ভারতে, ১৯৯৮-২০১৬ একটি রিসার্চ থেকে এমনটাই তথ্য মিলেছে।
হরিয়ানা, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ,দিল্লি, বিহার, চণ্ডীগড়ে ভারতের প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি অর্থাৎ ৪০ শতাংশ মানুষ বসবাস করে। আর এই সব রাজ্যগুলিতেই দূষণের মাত্রা মারাত্বক জায়গায় পৌঁছাচ্ছে।
দীপাবলিতে বাজি পোড়ানোর জন্য বিশাল পরিমাণে দূষণ হয়েছে। লাগামছাড়া দূষণের কারণে দিল্লি ও তার আশেপাশের অঞ্চলগুলো বিষাক্ত ধোঁয়ায় আটকে পড়েছে।
এরপর দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইট করেছেন, দিল্লির স্কুলগুলি মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর অবধি বন্ধ থাকবে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল স্কুল শিশুদের দম মুখোশ বিতরণের সময় শহরটিকে একটি “গ্যাস চেম্বার” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানা ও পাঞ্জাবকেও দোষ দিয়েছেন, যেখানে বছরের এই সময়টিতে হাজার হাজার কৃষক উত্তর ভারত জুড়ে কৃষিবর্জ্য পুড়িয়ে যে ধোঁয়া তৈরি করে। তার কারণে দূষণ আরও বাড়ছে বলে দাবি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর।