গত বছর ১২ই সেপ্টেম্বর রাজ শুভশ্রীর কোল আলো করে আসে ইউভান। রাজশ্রীর পরিবারে আসে এই ছোট্ট ছেলে। বার্থ সার্টিফিকেটে নাম ইউভান হলেও বাড়ির সকলে আদর করে ডাকে সিম্বা।এই ছেলেকে নিয়ে চক্রবর্তী পরিবারের দিন রাত কেটে যায়। রাজ শুভশ্রীর এই পুত্র হট কেক সোশ্যাল দুনিয়ার। বয়স সাত মাস কিন্তু এই ছোট্ট সেলেব বাবা মায়ের থেকেও বড় সেলিব্রেটি। তার নামেই খুলে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান পেজ। আর রাজ শুভশ্রী একরত্তির সাথে কাটানো নানান মুহূর্ত শেয়ার করে থাকেন সোশ্যাল দুনিয়াতে।
রাজ পুত্রকে অনেকে টলিউডের তৈমুর বলে ডাকে। আর নেট নাগরিকরা অপেক্ষা করে থাকেন এই একরত্তিকে এক ঝলক দেখবে বলে। ফেব্রুয়ারি মাসে ইউভানের সাড়ে পাঁচ মাসেই হালিশহরে বেশ জাঁকজমকভাবে মুখে ভাতের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়৷ মামা না থাকায় দাদুর হাতে প্রথম মুখে ভাত খেল ছোট্ট ইউভান। কচি কলাপাতা আর হলুদ পাঞ্জাবি আর সাদা ধুতিতে পড়ে বসে হাসি খুশিতে ভালো ছেলের মতো দাদুর হাত দিয়ে ভাত মুখে দিল ইউভান। মা, বাবা, মাসি, ঠাকুমা, পিসি, আর দিদিদের তরফ থেকে নিলেন আশীর্বাদ।
করোনা আবহে বেশি বাড়ির বাইরে যেতে পারেনা ইউভান। বেশিরভাগ সময়ে বাড়িতেই সময় কাটায়। তবে গত ৯ই মে ছিল রবিবার ছিল রবীন্দ্রজয়ন্তী। ইউভানের প্রথম রবীন্দ্রজয়ন্তী। এর পাশাপাশি ছিল গতকাল ছিল মাদার্স ডে। আর এই দুই সেলিব্রেশন হবে না তাই কি হয়। দুই বিশেষ মুহূর্ত সেলিব্রেট করতে বাবা মায়ের সাথে হাজির হন প্রিয় বড় মাসির বাড়িতে।
রবীন্দ্রজয়ন্তী মানে বাঙালিদের বিশেষ পার্বন। আর রবীন্দ্র জয়ন্তী মানেই বাঙালি সাজ তো মাস্ট। তাই এই দিন সাদা-কালো হ্যান্ডলুমের শাড়ি, আর সাথে মানানসই জাঙ্ক জুয়েলারিতে অভিনেত্রী আর ছেলে ইউভান ও বাঙালি সাজে ছক্কা হাঁকালো। সাদা পাঞ্জাবিতে বাঙালি বাবু হয়ে কখনো মায়ের কোলে তো কখনো আদুরে মাসির কোলে আদর খেলেন। গত মাসেই ইউভানের বড় মাসি বিয়ে করেন। তাই এই দিন মাসি দেবশ্রী, নতুন মেসোমশাই, দাদা ও মা বাবার সঙ্গে খোশমেজাজে থাকেন ইউভান। আর সেই সব মুহূর্ত ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে।