বিশ্ব জুড়ে করোনার জেরে ঘরবন্দী সকলেই। দেশ লক ডাউনের ফলেও একই চিত্র চারিদিকে। প্রথম ধাপের লক ডাউনের শেষ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই লক ডাউনের মেয়াদকাল আগামী ৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়েছেন। আর এই লক ডাউনের ফলে বাইরে বেরোচ্ছেন না কেউই। তার ফলে যোগাযোগ বন্ধ সর্বক্ষেত্রে। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে মোবাইল হয়ে উঠেছে সর্বক্ষণের সঙ্গী। সেই মোবাইলের ‘জুম’ অ্যাপ হয়ে উঠেছে ভিডিও কনফারেন্সের অন্যতম জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। এই ভিডিও কলিং অ্যাপের মাধ্যমেই চলছে দেদার দেখা-সাক্ষাৎ, আড্ডা, কাজের তথ্য আদানপ্রদান।
কিন্তু এই ‘জুম’ নামক ভিডিও কলিং অ্যাপ কতটা নিরাপদজনক! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, ভিডিও কনফারেন্সের জন্য এই অ্যাপটি মোটেও নিরাপদ নয়। জনপ্রিয় ও সুবিধাজনক হলেও এই অ্যাপ থেকেই ফাঁস হতে পারে অনেক তথ্য। সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অনলাইন ভিডিও কনফারেন্সের জন্য ব্যবহৃত ‘জুম’ অনেক জায়গাতেই এনক্রিপশন দুর্বল। অর্থাৎ গ্রাহকদের তথ্যকে ধরে রাখতে দুর্বল। ফলে খুব সহজেই বিশ্বের চারিদিকে গ্রাহকদের তথ্য ফাঁস হতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
তথ্য বলছে, লক ডাউনের পূর্বে এই অ্যাপে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১ কোটি মানুষ এই অ্যাপটি ব্যবহার করতেন, যা লক ডাউনের পর সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটিতে। পড়াশোনা থেকে সংবাদমাধ্যমের প্যানেল ডিসকাশন, রাজনৈতিক আলোচনা থেকে বন্ধুুমহলে দেখা সাক্ষাতের জন্য এই অ্যাপটি জনপ্রিয়তার নিরিখে সবার আগে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কথায়, মোটেই নিরাপদ নয় ‘জুম’ -অ্যাপটি। গ্রাহকদের তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে সংশয় তৈরি হতে পারে। তবে ‘জুম’ সংস্থা এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।