
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন স্পিডস্টার ব্রেট লি তাঁর আগ্রাসী বোলিংয়ের জন্য যেমন পরিচিত, তেমনই এবার এশিয়া কাপ চলাকালীন আলোচনায় এলেন এক ভিন্ন কারণে। সাবেক এই তারকা বোলার বেছে নিয়েছেন এশিয়ার সেরা টি-২০ প্লেয়িং ইলেভেন। আর তাতে ভারতীয় ক্রিকেটারদের আধিপত্য স্পষ্ট।
লি যে একাদশ গড়েছেন, তাতে পাঁচজন ভারতীয় ক্রিকেটার জায়গা করে নিয়েছেন। আরও চমকপ্রদ বিষয় হল, এদের মধ্যে তিনজন ইতিমধ্যেই টি-২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। তবুও তাঁদের অবদান ও প্রভাবের জন্য লি তাঁদের বাদ দেননি।
‘ত্রিমূর্তি’র উপস্থিতি
ব্রেট লি তাঁর দলে রেখেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের সোনালি অধ্যায়ের তিন নক্ষত্র—মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। ২০০৭ সালের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করার কৃতিত্ব ধোনির নেতৃত্বে। অন্যদিকে, রোহিত শর্মা ২০২৪ সালে আবারও ট্রফি জিতিয়ে প্রমাণ করেছেন তাঁর নেতৃত্বগুণ। ব্যাট হাতে কোহলি বরাবরের মতোই নির্ভরযোগ্য, যিনি টি-২০ ফরম্যাটে এখনও বিশ্বব্যাপী সম্মানিত। যদিও এই তিনজনই এখন আর ভারতের হয়ে টি-২০ ক্রিকেট খেলছেন না।
বর্তমান প্রজন্মের দুই শক্তি
অবসরপ্রাপ্তদের পাশাপাশি লি রেখেছেন দুই বর্তমান ভারতীয় তারকা—অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ড্য এবং পেসার জসপ্রীত বুমরা। দু’জনেই সাম্প্রতিক টি-২০ বিশ্বকাপে ভারতকে জেতাতে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। ব্যাট-বলের ভারসাম্যে হার্দিক দলের অন্যতম ভরসা, আর বুমরাহর আগুনঝরা বোলিং প্রতিপক্ষের জন্য নিয়মিত আতঙ্ক।
অন্য দেশগুলির খেলোয়াড়েরা
ভারতীয়দের বাইরে লির দলে জায়গা পেয়েছেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাস্ট বোলার হারিস রউফ। চমকপ্রদভাবে বাদ পড়েছেন বাবর আজম এবং শাহিন আফ্রিদি। রিজওয়ানকে প্রাধান্য দিয়ে লি জানিয়েছেন, টি-২০ ফরম্যাটে ধারাবাহিকতাই তাঁর পছন্দের প্রধান কারণ। শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গা এবং আফগানিস্তানের স্পিন সেনসেশন রশিদ খানকেও রেখেছেন তিনি। এছাড়া হংকংয়ের বাবর হায়াত, আরব আমিরশাহির দুই খেলোয়াড় মোহাম্মদ নাভিদ ও আমজদ জাভেদও তালিকায় আছেন।
পূর্ণাঙ্গ একাদশ
ব্রেট লির নির্বাচিত সেরা এশিয়ান টি-২০ একাদশ: বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, মোহাম্মদ রিজওয়ান, বাবর হায়াত, মহেন্দ্র সিংহ ধোনি, হার্দিক পাণ্ড্য, ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গা, রশিদ খান, আমজদ জাভেদ, মোহাম্মদ নাভিদ, হারিস রউফ এবং জসপ্রীত বুমরাহ।
এই তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই ক্রিকেটমহলে আলোড়ন পড়ে গেছে। কেউ বলছেন, বাবর আজমকে বাদ দেওয়া অন্যায়, কেউ আবার ধোনি-কোহলি-রোহিতকে একসঙ্গে দেখে আবেগপ্রবণ হচ্ছেন। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট—ভারতীয় ক্রিকেটাররা এখনও এশিয়ার টি-২০ ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় প্রভাবক হিসেবে ধরা হয়।