ভারত বিশ্বের বৃহত্তম সুপারি উৎপাদক। এটি ভারতীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান, উপাসনা অনুষ্ঠান এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত হয়। সুপারি মহিলাদের লিউকোরিয়ার চিকিৎসায় সহায়ক। দেশে পান মশলা, গুটখা, তামাকে সুপারি বেশি ব্যবহার করা হয়। একবার চাষ হলে ৭০ বছর ফলন হতে পারে। সুপারির দাম বলা হয় ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা।
সুপারি চাষ করে লাখ লাখ টাকা মুনাফা করছেন কৃষকরা। আপনি যদি চাষের কথা ভাবছেন তাহলে এই তথ্যটি আপনার জন্য জজরুরি। লাল মাটি, দো-আঁশ ল্যাটেরাইট মাটি এবং বেলে মাটি সুপারি চাষের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। চাষের জন্য সুপারির বীজ থেকে নার্সারি প্রযুক্তিতে গাছ প্রস্তুত করা হয়। গাছ প্রস্তুত হওয়ার জন্য আংশিক সূর্যের আলো প্রয়োজন। এটি রোপণ করতে ১৫ থেকে ১৮ মাস সময় লাগে।
বর্ষা মরসুমের জুলাই মাসে রোপণ করা হয়। চারা রোপণে এক গাছ থেকে আরেক গাছের দূরত্ব ২.৭ মিটার করতে হবে। সে অনুযায়ী এক একর জমিতে ৪০০ চারা রোপণ করা হয়। সুপারি গাছ নারকেলের মতো চওড়া পাতায় ৫০ থেকে ৭০ ফুট লম্বা হয়। তাপমাত্রা `১৮ থেকে ২৬ ডিগ্রি এবং মাটির পিএইচ মান ৭ থেকে ৮ এর মধ্যে বিবেচনা করা হয়। সুপারি গাছ ফলের গাছে পরিণত হতে ৫ থেকে ৭ বছর সময় লাগে। তার সেচের দিকে বিশেষ নজর দিতে হয়। একটি গাছের বছরে ৬ মাস ১৫ লিটার জলের প্রয়োজন হয়।
রোপণ জমিতে যেন জলাবদ্ধতা না থাকে। জলাবদ্ধতার ক্ষেত্রে ছোট ছোট ড্রেন তৈরি করে ক্ষেত থেকে পানি নিষ্কাশন করা বাধ্যতামূলক। গাছ থেকে ভাল ফলন পেতে গোবর সার বা কম্পোস্ট সার ব্যবহার করা প্রয়োজন। সুপারি গাছ ৫ থেকে ৮ বছরের মধ্যে ফলন পেতে শুরু করে। একটি গাছে বছরে প্রায় ১৫ থেকে ৩০ কেজি সুপারি উৎপন্ন হয়, যা একবার রোপণ করলে ৭০ বছর পর্যন্ত চলতে পারে।
বাজারে প্রতি কেজি সুপারির দাম ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা। এটি অনলাইন শপিংয়ে বা কোম্পানির ট্রেডমার্ক থেকে টাইপ করে বেশি দামে বিক্রি করা যায়। মানুষ একবার চাষ করে বহু বছর ধরে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারে।