ক্রিকেটখেলা

মজদূরি করে সংসার চালিয়েছেন মা, এখন আইপিএলে দলের নির্ভরযোগ্য বোলার

Advertisement

ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আইপিএল এর ত্রয়োদশ আসর। প্রতি বছরই কিছু তরুণ ক্রিকেটারকে অর্থ ও যশ দিয়ে সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দেয় এই টুর্নামেন্ট। এবং অনেক প্রতিভা উঠে আসে যারা ভবিষ্যতে ভারতের জার্সি পরে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করে। এই আইপিএল থেকেই উঠে এসেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, হার্দিক পান্ডে, ক্রুনাল পান্ডে, জশপ্রীত বুমরাহ প্রভৃতি নামকরা ক্রিকেটাররা। এঁরা বর্তমানে ভারতীয় দলের সম্পদ।এবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের ফাস্ট বোলার টি নটরাজন নিজের প্রদর্শনে সকলের মনোযোগ নিজের দিকে আকর্ষিত করেছেন।এই মরশুমে মঙ্গলবার সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ আর দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যেকার ম্যাচে টি নটরাজন নিজের দুর্দান্ত জোরে বোলিং করেছেন।

নটরাজন ৪ ওভার বল করে মাত্র ২৫ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন। এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব প্রশংসা হয় নটরাজনের বোলিংয়ের । তামিলনাড়ূর প্রত্যন্ত গ্রাম চিন্নপামট্টিতে জন্ম হয় নটরাজনের। তাঁর পরিবার ছিল ভীষণই গরীব। অভাবের দায়ে তাঁর মা মজদুরি করে দুবেলা পরিবারের খাবার জোগার করতেন। কিন্তু এত অভাব সত্ত্বেও তিনি তাঁর খেলা চালিয়ে যান। নিজের পরিশ্রম এবং প্রতিভার জোরে সকলের মনযোগ নিজের বোলিংয়ের দিকে আকর্ষিত করেছেন। আসলে নটরাজনের খেলার প্রতি ভালোবাসা তৈরি হয় টেনিস বল ক্রিকেট থেকে। তাঁকে টেনিস বলে ক্রিকেট খেলতে দেখেন কোচ জয়প্রকাশ আর তারপর তাকে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লীগে খেলার সুযোগ দেওয়া হয়। কোচের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নটরাজন নিজের আইপিএল জার্সিতে নিজের নামের বদলে কোচ জেপির নাম লেখেন। নটরাজনের পরিবারের তিন ভাই-বোন রয়েছে। তিনি নিজের বোনেদের ভালোভাবে পড়াশুনা করাতে চান বলে জানান।

২০১৯ সালের নিলামে ৪০ লক্ষ টাকায় নটরাজনকে এ কিনে নিজেদের দলে শামিল করছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। এই মরশুমে এখনো পর্যন্ত খেলা হওয়া তিনটি ম্যাচের সবকটির প্রথম একাদশে তাকে শামিল করা হয়েছে। যেখানে এই বোলার সকলের মনোযোগ নিজের দিকে আকর্ষিত করতে সফল হন। নটরাজন এখনও পর্যন্ত ৩টি উইকেটই নিতে পেরেছেন, কিন্তু তিনি নিজের কৃপণ বোলিংয়ের দ্বারা সকলকে প্রভাবিত করেছেন। নটরাজন এখন ধীরে ধীরে নিজের পরিচিতি তৈরি করছেন। আইপিএল থেকে প্রাপ্ত টাকায় নিজের একটি বাড়ি বানালেও এখনো পর্যন্ত কোনই গাড়ি কেনেননি তিনি। তার বক্তব্য যে তিনি প্রথমে জরুরী কাজ করতে চান, গাড়ির জন্য এখনও অপেক্ষা করতে রাজি তিনি।

Related Articles

Back to top button