প্রধানমন্ত্রীর ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার আজ তৃতীয় দিন। তৃতীয় দিনে আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, দুগ্ধজাত পণ্যের ক্ষেত্রে আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করলেন। প্যাকেজ ঘোষণার তৃতীয় দিনে কৃষিক্ষেত্রের জন্য বড় ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী। কৃষিক্ষেত্রে ১ লক্ষ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্যের কথা আজ ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। কৃষিক্ষেত্রে পরিকাঠামো উন্নয়নে ব্যবহৃত হবে এই টাকা। কৃষিক্ষেত্রের জন্য ১১ টি ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করেন তিনি। এই ১১টি ত্রাণ প্রকল্পের মধ্যে ৮ টি কৃষিক্ষেত্রে পরিকাঠামো এবং সংযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে এবং বাকি তিনটি প্রশাসনিক স্তরে।
কৃষিক্ষেত্রে ১ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজের বিষয়ে তিনি বলেন, “তৃণমূল স্তরের কৃষকদের পাশাপাশি স্টার্টআপ সেক্টর, রফতানি ক্ষেত্রকে আর্থিক সুবিধা দেবে এই প্যাকেজ। পরিকাঠামো উন্নয়ন, কোল্ড স্টোরেজের আধুনিকীকরণে ব্যবহৃত হবে এই প্যাকেজ।” আজকের আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী জানান, “লকডাউন জারি হওয়ার পর থেকে বিগত দুমাসে কৃষকদের কাছ থেকে নূন্যতম সহায়ক মূল্যে ৭৪,৩০০ কোটি টাকার খাদ্যশস্য কেনা হয়েছে। গত দুমাসে কৃষকদের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনায় ১৮,৭০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।” কৃষকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি টাকা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।
কৃষকদের পাশাপাশি ডেয়ারী শিল্পের জন্যও আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, “করোনার জন্য দুধের চাহিদা ২০-২৫ শতাংশ কমেছে। এই পরিস্থিতিতে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে দুগ্ধ সমবায় গুলিকে ২ শতাংশ করে সুদের ছাড় দেওয়া হবে। এছাড়াও দুগ্ধ শিল্পের উন্নয়নে ১৫,০০০ কোটি টাকা দেওয়া হবে।” মৎসচাষীদেরও এই আর্থিক প্যাকেজের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। মৎসচাষীদের উদ্যেশ্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, “গত দুই মাসে ২৪২ টি হ্যাচারির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মৎস্যসম্পদ যোজনায় ২০,০০০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ৫৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে এর ফলে।” এছাড়াও আর্থিক প্যাকেজে ক্ষুদ্র খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ শিল্পে ১০,০০০ কোটি টাকা, মৌমাছি পালনে ৫০০ কোটি টাকা এবং ভেষজ উদ্ভিদ চাষে ৪,০০০ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্যের কথাও ঘোষণা করা হয়েছে।