কলকাতায় ৭ দিনের মধ্যে ১০০০ বেড বাড়ানোর নির্দেশ মুখ্যসচিবের, যুদ্ধ তৎপরতায় কাজ রাজ্য সরকারের
শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ২২০ বেড নিয়ে একটি করোনা ওয়ার্ড চালু হবে
করোনা ভাইরাস প্যানডেমিকের প্রভাবে গতবছর থেকে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয়েছে বিশ্ববাসীকে। চলতি বছরের শুরুতে করোনা সংক্রমনের হার তলানিতে ঠেকতে সবাই প্রায় স্বস্তির নিঃশ্বাস নিয়েছিল। আবারো আগের মত কাজকর্ম এবং সাধারন জীবন যাত্রা শুরু করেছিল মানুষ। তবে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। দেশজুড়ে রেকর্ড সংখ্যা পার করেছে দৈনিক সংক্রমনের। এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দৈনিক করোনা সংক্রমণ ২ লাখ ৭৩ হাজারের গণ্ডি ছুঁয়েছে। রাজ্যগুলিতে করোনা আক্রান্তের জন্য বেড পাওয়া যাচ্ছে না। অভাব দেখা গিয়েছে অক্সিজেনের। গোটা দেশের মতোই শোচনীয় অবস্থা বাংলায়।
বাংলার করোনা পরিস্থিতি বিচার করে রাজ্য সরকার এটা বুঝে গেছে যে ভোট পর্ব মিটলে রাজ্যে আছড়ে পড়বে করোনার বিশাল ঢেউ। তাই এখন থেকেই আগাম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার স্বাস্থ্যকর তাদের সাথে বৈঠক করেছেন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর কলকাতায় সম্ভাব্য সমস্ত উপায়ে করোনার বেড বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র কলকাতায় আগামী ৭ দিনের মধ্যে অন্তত ১০০০ টি বেড বাড়ানো হবে। শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে ২২০ বেড নিয়ে একটি করোনা ওয়ার্ড চালু হবে। এছাড়া এম আর বাঙ্গুর ও বালটিকুরি ইএসআই হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ড এ বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
মুখ্যসচিব ছাড়াও এদিন কলকাতা পুরসভার আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেছেন পুর এবং নগরউন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বৈঠকের পর জানিয়েছেন, “এসএসকেএম হাসপাতালে লাগোয়া উর্ত্তীন্ন ভবনে কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে। সেখানে ১০ অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। কারুর কোয়ারেন্টাইন এর প্রয়োজন হলে রোগীকে কাছাকাছি কোন সেফহোমে পৌঁছে দেবে পৌরসভার কর্মীরা। এছাড়াও একাধিক হাসপাতালে বেড বাড়ানো হবে।” এমনকি জানা গিয়েছে দরকার পড়লে সরকারি পার্কিং এবং লবিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসা হবে।