একুশে নির্বাচন একদম দোরগোড়ায় এসে উপস্থিত হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের প্রত্যেকটি রাজনৈতিক পূর্ণোদ্যমে ভোট প্রচার উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। কিন্তু ভোট প্রচারে পাশাপাশি বাড়ছে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। গত কয়েকদিনে বঙ্গ রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় পুলিশের সাথে সিপিএম সমর্থকদের খণ্ডযুদ্ধ ও তাতে মঈদুলের মৃত্যু। কিন্তু এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মইদুলের মৃত্যুকে দুর্ভাগ্যজনক বলে জানিয়ে তার পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এই বিষয়ে সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আজ চা-চক্রে বেরিয়ে বলেন, “মৃত্যু খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এটা নতুন কিছু না। কয়েকদিনের মধ্যে আমাদের ১৩৫ জন কর্মী মারা গিয়েছে। তাদের সবাইকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু তাদের তো কেও চাকরির কথা বলেনি।” এছাড়াও তিনি পুরো ঘটনাটি রাজনীতির রং মাখিয়ে বলেছেন, “ব্যাপারটা পুরোটাই ছকে চলা। আন্দোলন করানো হচ্ছে। আর তারপর তার লাভ তোলা হচ্ছে, চাকরি দেওয়া হচ্ছে। পুরো ঘটনার পিছনে একটা সূক্ষ্ম রাজনীতি আছে। সিপিএম ও কংগ্রেস কে দিয়ে আন্দোলন করানো হচ্ছে এবং লাঠি চালানো প্রচার করা হচ্ছে। তাদের কর্মী মারা গিয়েছে সঙ্গে সঙ্গে তাদের চাকরি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”
দিলীপ ঘোষ শাসক দলকে আরও কটাক্ষ করে বলেন, “বিরোধীদের আন্দোলন করার অধিকার আছে। সবই মক ফাইট হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের তাপসবাবুর মত লোকেরা বলেই দিয়েছেন আসুন আপনারা বিজেপির সঙ্গে পারবেন না একসঙ্গে লড়াই করি। আসলে ওরা বুঝে গিয়েছে যে বিজেপি সাথে একা লরা যাবেনা।” দিলীপ ঘোষ মইদুলের পরিবারকে চাকরি দেওয়ার আশ্বাসকে বিদ্রুপ করে বলেছেন, “হঠাৎ কেন মুখ্যমন্ত্রী এত দরদ উথলে উঠল? এতদিনে শয়ে শয়ে লোক মারা গিয়েছে। তাতে তো কোনদিন মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার ঘোষণা করেনি। লাশের রাজনীতি শুরু করেছে ওনারা। বিজেপি এবার বিধানসভা নির্বাচনে জিতে পশ্চিমবঙ্গে লাশের রাজনীতি থেকে মানুষকে মুক্ত করবে।”