লক ডাউনের ফলে দেশের ১৪ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান অনিশ্চিত: সমীক্ষা
করোনার জেরে এক মাস লক ডাউন গোটা দেশে আর তার ফলেই কাজের জায়গা অনিশ্চিত প্রায় ১৪ কোটি মানুষের। CMIE-এর সম্প্রতি একটি সমীক্ষা বলছে, দেশে লক ডাউনের ফলে দেশের অর্থনীতির বেহাল দশা। সমস্ত রকম কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। আর সেইজন্যই অর্থনীতির উপর চাপ পড়েছে। অর্থনীতি থমকে যাওয়ায় প্রায় ১৪ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন। এমন ভয়ঙ্কর তথ্যই উঠে এসেছে সেই সমীক্ষায়।
করোনার দাপট বাড়ছে বিশ্ব জুড়ে। গোটা বিশ্ব জুড়ে দাপিয়ে নিজের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রেখেছে নোভেল করোনা ভাইরাস। যার ফলে প্রতিদিন সারা বিশ্বে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গোটা বিশ্বে উদ্বেগ ও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন দেশে যেভাবে মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়ে গিয়েছে তাতে লক ডাউন ঘোষণা ছাড়া কোনো উপায় দেখেনি দেশগুলি। একইরকম ভাবে ভারতেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃতের সংখ্যা। কিন্তু দেশে সংক্রমণ যাতে না ছড়ায় তার জন্য লক ডাউনই একমাত্র সমাধান। আর তার ফলে বেহাল দশা অর্থনীতিতে। সেই প্রভাব প্রবল ভাবে দেশের কর্মক্ষেত্রে পড়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
সমীক্ষা বলছে, নোটবাতিলের পর দেশে এই প্রথম বেকারত্ব চরম সীমায় পৌঁছেছে। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে দেশে বেকারত্ব ছুঁয়েছে ২৬.২ শতাংশ। শহরাঞ্চলে বেকারত্বের পরিমাণ ২৫.১ শতাংশ। গ্রামের ছবি আরই ভয়াবহ, গ্রামে বেকারত্ব ছুঁয়েছে ২৬.৭ শতাংশে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এরফলে ভবিষ্যতের চিত্র আরও ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কর্মসংস্থানের মালিকদের অনুরোধ করেছেন চাকরি থেকে ছাঁটাই রুখতে। কিন্তু করোনার ফলে অর্থনীতির করুন দশাই ভবিষ্যতকে আরও ভয়াবহ করতে পারে।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, শহরের তুলনায় গ্রামে বেকারত্বের ছবিটা আরও ভয়াবহ। কিন্তু করোনার হাত থেকে বাঁচতে লক ডাউনই ভরসা। বেশ কিছু জায়গা থেকে কর্মী ছাঁটাই নিয়ে কেন্দ্রের কাছে চিঠি পৌঁছেছে। যার ফলে বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী, শ্রমমন্ত্রীর পরে এ বার বিমান পরিবহণমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে চিঠি দিয়েছেন। এদিকে লক ডাউনের ফলে দেশে কর্মসংস্থান কমেছে ২৬.১ শতাংশ। তাই সমীক্ষা বলছে, দেশের ১৪ কোটি মানুষের কাজ খোয়া গিয়েছে লক ডাউনের ফলেই।