উত্তরপ্রদেশঃ গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাতরসে ওই যুবতীর বাড়ির কাছেই চারজন মিলে তাঁকে ভয়ঙ্কর অত্যাচার করে৷ পরে তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। ঘটনার সপ্তাহ দুই পর মঙ্গলবার ভোরে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে যুবতীর মৃত্যু হয়৷ এর পরেই সারা ভারত জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়৷ নির্যাতিতার মৃত্যুর পরিবারের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই এ দিন ভোরে ওই যুবতীর দেহ সৎকার করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ৷
এর মাঝেই আরো এক ভয়ানক ঘটনা সামনে এসেছে। এবারের ঘটনাস্থল উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর। এক ১৪ বছরের নাবালিকাকে বুধবার রাতে ধর্ষণ করেছে তারই প্রতিবেশী। জানা গিয়েছে এই ধর্ষণে জড়িত যুবকের বয়স ২০। অভিযোগ পেয়েই যুবকটির খোঁজে নেমেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। কিন্তু তাকে এখনো খুঁজে পাওয়া যায়নি বলে সূত্রের খবর। ধর্ষিতা ওই নাবালিকা এখন সঙ্কটজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে রয়েছে।
এই ন্যাক্কার জনক ঘটনায় সারা দেশের মানুষের পাশাপাশি কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধি এবং দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও ট্যুইটারে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন৷ তারা জানিয়েছেন এই নোংরা ঘটনায় পুলিশ কিভাবে ওই যুবতীর পরিবারের লোক জনের সাথে খারাপ আচরণ করেছেন, এমনকি এই ঘটনার প্রতিবাদও জানানো হয়েছে। অন্য দিকে হাথরসের দলিত তরুণীকে মধ্যরাতে দাহ করার ঘটনায় কাঠগড়ায় উঠেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ এর নাম।
গতকাল উত্তরপ্রদেশে দলিত কন্যা গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে কথা বলেন, তাঁরা একটু উত্তরপ্রদেশের দিকে তাকান। কিছু গুন্ডা গুন্ডামি করে বেড়াচ্ছে। বিএসএফ দিয়ে বিভিন্ন প্রান্তিক জায়গায় ঢুকে চমকাচ্ছে। কিন্তু এটা বিএসএফ-এর কাজ নয়।”