২০২০ সালের শুরু থেকে যত বিপর্যয় ঘটেছে তা হয়তো অন্যান্য বছরে সাম্প্রতিক কালে দেখা যায়নি। করোনার প্রকোপে নাজেহাল গোটা দেশ। নিরন্তর বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। এই করোনার ফলে অনেকেই হারিয়েছেন তাঁদের প্রিয়জনদের। ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আমফানের তান্ডব। উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম ভারতে ক্রমাগত তাপমাত্রা বৃদ্ধি, উত্তর-পূর্ব ভারতে বন্যা। এবার সম্প্রতি কৃষিক্ষেত্রে নতুন বিপদ পঙ্গপাল। যা গত ২৭ বছরের মধ্যে এইবছর সবথেকে বেশি পরিমাণে হানা দিয়েছে। এইসমস্ত কিছুর ক্ষয়ক্ষতির হিসেব করলে যা দেখা যায় তাতে এরকম একইসাথে এতগুলি বিপর্যয়ের মুখে দেশ সম্প্রতি পড়েনি। এবার আরও এক আশঙ্কার কথা শোনালেন আবহাওয়াবিদেরা।
তাঁরা জানিয়েছেন, এই বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে তাপমাত্রা অন্যান্য বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙতে চলেছে। উষ্ণতম হতে চলেছে ২০২০ সাল। বেশ কিছুদিন ধরেই উত্তর, মধ্য ও পশ্চিম ভারতে গরমের দাপট বেড়ে চলেছে। রাজস্থানের চুরুতে তাপমাত্রার পারদ পৌঁছে যায় ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এছাড়া রাজধানী দিল্লিতে তাপমাত্রা পৌঁছয় ৪৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তবে আপাতত পশ্চিমী ঝঞ্জার জেরে স্বস্তি মিলেছে। এছাড়া এবছর দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে কেরলে পূর্ব নির্ধারিত সময়ে প্রবেশ করবে বর্ষা।
International centre for climate and development এবং এক সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুসারে জানা গিয়েছে চলতি বছরে ভাঙতে চলেছে তাপমাত্রার রেকর্ড। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে যেসব দেশগুলি অবস্থান করছে সেখানের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। অর্থাৎ সেই তালিকায় ভারত ও বাংলাদেশ রয়েছে। আবহাওয়াবিদেরা অনুমান করছেন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই দেশ জুড়ে বাড়তে থাকবে তাপমাত্রা। এছাড়া ব্রিটিশ দৈনিক ‘The guardian’-এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, চলতি বছরের তাপমাত্রার রেকর্ড চার বছরের আগের তাপমাত্রা বৃদ্ধির রেকর্ডকে ছাপিয়ে যেতে পারে এবং তার সম্ভাবনা রয়েছে ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ।