শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে কমল নাথের ইস্তফা দেওয়ার পরই শনিবার বিজেপিতে যোগ দিলেন ৬ জন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সহ ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ক। বেশ কিছুদিন ধরেই মধ্যপ্রদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছিল। শুক্রবার একটি সাংবাদিক বৈঠকে পদত্যাগের কথা বলার পর কমল নাথ বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে লেনদেনের রাজনীতির মধ্যে তিনি ছিলেন না।
এরপর বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি বলেন বিজেপি গনতন্ত্রের হত্যাকারী। মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে পাঁচ বছরের জন্য তাদের ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন। কিন্তু বিজেপি জোর করে ২২ জন কংগ্রেস বিধায়ককে আটকে রেখেছে। সত্যিটা একদিন মানুষের সামনে আসবেই, মানুষ কখনো ক্ষমা করবে না বিজেপিকে।সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার পরেই তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন রাজ্যপাল লালজি টন্ডনের কাজে।
আরও পড়ুন : করোনা : লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, ক্রমশ ভয়াবহ অবস্থার দিকে এগোচ্ছে দেশ
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিধানসভায় আস্থাভোট হওয়ার কথা ছিল। শুক্রবারই ইস্তফা দেন কমল নাথ। ২২ জন বিদ্রোহী বিধায়ককে নিজেদের দলে রাখতে অসমর্থ হয় কংগ্রেস।
সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে বেশি সমর্থন আছে বিজেপির পক্ষে,তাই আবার ক্ষমতায় আসার প্রবল সম্ভাবনা বিজেপির। ১০৭ বিধায়কের সমর্থন থাকায় বিজেপি মনে করা হচ্ছে মধ্যপ্রদেশে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়া বিজেপির শিবরাজ সিং চৌহান আবার ফিরতে পারেন ক্ষমতায়।