কলকাতা : কথায় বলে ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয়। এরকমই এক উপায়ের সাক্ষী হলো পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের মেধাবী ছাত্র রূপক সাহা। আজ বন্যা এবং করোনা দুটোকেই উপেক্ষা করে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার বাইকে চেপে পরীক্ষা দিতে আসে ঘাটালের এই মেধাবী ছাত্র।
করোনা আবহে থমকে গেছে আগের সবকিছুই। তাই বাস না মেলায় এদিন অনেক কষ্টে এতোদূর থেকে পরীক্ষা দিতে আসে রূপক সাহা। পরীক্ষা দেওয়ার পর সে জানায়, “আগামী ১৩ ই সেপ্টেম্বর সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকার পরীক্ষাও আমি দেব। ওই পরীক্ষা কেন্দ্র অবশ্য দুর্গাপুরে পড়েছে। আমার ইঞ্জিনিয়ার এর চেয়ে চিকিৎসক হওয়ার বেশি ইচ্ছে”।
রুপক ঘাটালের পাঁচবেড়িয়া রামচন্দ্র শিশুশিক্ষা মন্দিরের ছাত্র, তার বাবা পেশায় একজন দিনমজুর। এদিন প্রায় চার ঘন্টার পথ বাইকে পেড়িয়ে কলকাতায় পোঁছায় রূপক। এদিন রূপকের বাবা জানায় “ছেলের স্বপ্ন পূরণের জন্য আমি তো বাবা হিসাব এইটুকু করতেই পারি। করোনার জন্য বাসে ছাড়ার ভরসা হয়নি। তার উপরে সোমবার লকডাউন থাকায় ছেলেকে নিয়ে তাই বাইকে করে নিয়ে চলে এলাম। খরচা হচ্ছে, পরিশ্রম হচ্ছে কিন্তু ছেলে আগামী দিনে নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারলে ওর থেকে বেশি খুশি আমি হব ।”
নিজের স্বপ্ন পূরণের জন্য এদিন ঘাটালের জল পেড়িয়েও কলকাতায় পরীক্ষা দিতে আসে রূপক। কারণ পশ্চিম মেদিনীপুর এমনকি তার সংলগ্ন কোন অঞ্চলে এই প্রবেশিকা পরীক্ষার কোন পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল না। কিন্তু সে জানিয়েছে তার পরীক্ষা দেওয়ার জন্য এই সামান্য কষ্ট একেবারেই যতসামান্য।