সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের মধ্যে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। কারণ সামনে আসছে অষ্টম বেতন কমিশনের (8th Pay Commission) সম্ভাবনা। প্রতিটি কমিশনই সরকারি চাকরিজীবীদের জীবনে নতুন আর্থিক নিরাপত্তা ও সুবিধা নিয়ে আসে। তাই এবারও বাড়ছে প্রত্যাশা—কবে কার্যকর হবে এই সিদ্ধান্ত, কতটা বৃদ্ধি হবে বেতন?
কবে কার্যকর হতে পারে?
ন্যাশনাল কাউন্সিল জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারি (NC-JCM)-র স্টাফ সাইড সেক্রেটারি শিব গোপাল মিশ্র প্রস্তাব দিয়েছেন, ২০২৬ সালের জানুয়ারি থেকে অষ্টম বেতন কমিশন কার্যকর করা হোক। তাঁর মতে, সপ্তম বেতন কমিশনের ক্ষেত্রেও একই ধারা অনুসৃত হয়েছিল। যদিও কমিশন কার্যকর হয়েছিল জুলাই মাসে, তবু তার প্রভাব পড়েছিল ওই বছরের জানুয়ারি থেকে। তাই এবারও অনুরূপ প্যাটার্নের আশা করছেন কর্মচারীরা।
বেতন বৃদ্ধির সম্ভাবনা
জয়েন্ট কনসালটেটিভ মেশিনারির মতে, এই কমিশন কার্যকর হলে বেতন প্রায় ৩০ থেকে ৩৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর ফলে লাখ লাখ পরিবারের আর্থিক সুরাহা হবে এবং মাসিক বাজেট মজবুত হবে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, শুধু কর্মচারীদের জীবনযাত্রা উন্নত হবে না, খরচ করার ক্ষমতা বাড়লে সামগ্রিক অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক তাৎপর্য
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বেতন সংশোধনের ফলে সরকারের ব্যয় বাড়বে ঠিকই, তবে নির্বাচনী বছরে এটি রাজনৈতিক সুবিধাও এনে দিতে পারে। সরকারি কর্মচারীরা দেশের একটি বড় ভোটব্যাঙ্ক। তাঁদের প্রত্যাশা পূরণ হলে সরকারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পেতে পারে।
দেশজুড়ে প্রতীক্ষা
কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে রাজ্যের অফিস—সবখানেই এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু অষ্টম বেতন কমিশন। কর্মচারী থেকে শুরু করে পেনশনভোগী, সবার মনে একই প্রশ্ন—কবে আসবে চূড়ান্ত ঘোষণা? জানুয়ারি ২০২৬-এর সম্ভাব্য সময়সীমা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। মিশ্রর মতে, এই সময়সীমা মানা হলে কর্মচারীরা ন্যায্য স্বস্তি পাবেন এবং অযথা বিলম্ব এড়ানো যাবে।
সরকার কী বলছে?
এখনও পর্যন্ত সরকারের তরফে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে কর্মচারী সংগঠনগুলির বাড়তে থাকা সক্রিয়তা চাপ বাড়াচ্ছে নীতি-নির্ধারকদের ওপর। ফলে সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের দৃষ্টি এখন কেন্দ্রীভূত দিল্লির দিকে।














