যত সময় যাচ্ছে ততই যেন জটিল হচ্ছে উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া। নিয়ম মেনে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে না, এই অভিযোগ নিয়ে একাধিক পিটিশন জমা পড়েছে উচ্চ আদালতে। নিয়োগ প্রার্থীদের দাবি, উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র দূর্নীতি চরম আকার ধারণ করেছে।
অপেক্ষাকৃত কম নাম্বার পাওয়া প্রশিক্ষণহীন প্রার্থীরা ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউতে ডাক পেলেও তার থেকে বেশি নাম্বার পাওয়া ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এই অভিযোগ নিয়ে নিয়োগপ্রার্থীদের তরফে আদালতে যাওয়া হলে, সম্পূর্ণ নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ।
গতকাল, শুক্রবার এই মামলার শুনানি ছিল। মনে করা হচ্ছিল এদিন জট কাটতে পারে। কিন্তু সেই আশা সফল হয়নি। স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী আদালতের নির্দেশ মেনে সফল চাকরীপ্রার্থীদের সমস্ত তথ্য পিডিএফ আকারে জানাতে সম্মত হলেও, মামলাকারীদের আইনজীবী সমস্ত পিটিশনারের ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ নিশ্চিত করতে সওয়াল করেন।
জট না কাটায় বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য শেষ পর্যন্ত মামলার শুনানির তারিখ পিছিয়ে দেন। আগামী ২৬ শে সেপ্টেম্বর আবার এই মামলার শুনানি হবে। তবে এদিনের শুনানিতে আগের স্থগিতাদেশ না ওঠায় পূজোর আগে আর কোনমতেই নিয়োগ সম্ভব নয় বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।