বিগ বস ওটিটি’-র প্রথম সিজনের প্রতিযোগী উরফি জাভেদ। বিগ বসের মঞ্চ থেকেই দর্শকদের মাঝে পরিচিতি পেয়েছিলেন তিনি। তবে সেইসময় বিগবসের মঞ্চ থেকে সেভাবে নিজের প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি অভিনেত্রী। বর্তমানে উরফি আর বিতর্ক একে অপরের সমার্থক হয়ে গিয়েছেন। তিনি যেখানে থাকবেন সেখানে বিতর্ক দানা বাঁধবেই। নিজের অদ্ভুত সাজপোশাকের জন্য প্রায়ই উরফি কটাক্ষের শিকার হন নেটিজেনদের কাছে। তিনি কোনো না কোনো কারণে চর্চায় থাকেন মিডিয়াতে। মিডিয়াতে চর্চায় থাকার জন্য তিনি সবকিছু করতে পারেন, তা এতদিনে স্পষ্ট সকলের কাছেই।
সম্প্রতি আবারো নিজের অদ্ভুত পোশাকের কারণেই পুনরায় নেটদুনিয়ায় নেটজনতার একাংশের মাঝে ট্রোলড অভিনেত্রী। উরফিকে সম্প্রতি ম্যাড স্টুডিওর বাইরে ট্রান্সপারেন্ট পোশাকে দেখা গিয়েছে। ঘি রঙা ট্রান্সপারেন্ট ব্রা কাটিং টপ ও ট্রান্সপারেন্ট ট্রাউজারে ছিলেন তিনি। এই পোশাকে তার শরীরের অনেকাংশ ছিল দৃশ্যমান। পাশাপাশি তার অন্তর্বাসও ছিল একেবারে স্পষ্ট। এদিন মানানসই কানের দুল ও হাই হিলে চুলে হস্টেল বেঁধেছিলেন উরফি। এই পোশাকেই নিজের সাম্প্রতিক লুক সেট করেছিলেন তিনি। আপাতত পাপারাজিৎদের সূত্র ধরে তার সেই লুকই নেটদুনিয়ায় ভাইরাল।
কয়েকদিন আগে তার একটি মিউজিক ভিডিও মুক্তি পেয়েছে। ‘হায় হায় ইয়ে মাজবুরি’ গানটি মুক্তি পাওয়ার পর সম্ভবত তার প্রচারের খাতিরেই ম্যাড স্টুডিওতে এই পোশাকে উপস্থিত হয়েছিলেন উরফি। আপাতত নিজের সাম্প্রতিক প্রচার লুকের সূত্রের চর্চায় অভিনেত্রী, যা ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই নেটিজেনদের একাংশের মাঝে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে অভিনেত্রীকে। নানা কু-কথাও শুনতে হয়েছে তাকে, যা প্রতিবারের মতো এবারো দক্ষতার সাথে এড়িয়ে গিয়েছেন উরফি জাভেদ।
বর্তমানের অভিনেত্রী হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় ভীষণভাবে অ্যাক্টিভ উরফি জাভেদ। বলাই বাহুল্য, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই বিপুল পরিচিতি অর্জন করেছেন মানুষের মাঝে। এই নেটমাধ্যমের হাত ধরেই তিনি নিজের অনুরাগীদের সাথে সংযোগ স্থাপন করে চলেছেন। উল্লেখ্য, অভিনেত্রী খুব ভালোভাবেই জানেন কিভাবে নিজের উপর মিডিয়ার চোখ টিকিয়ে রাখতে হয়!
মিডিয়াতে চর্চায় থাকার জন্য তিনি প্রতি মুহূর্তে কিছু না কিছু করেই চলেছেন। তাতে কে কি ভাবল! কে কি বলল! তাতে থোড়াই কেয়ার অভিনেত্রীর। তিনিই নিজের মর্জির মালিক। তিনি অন্যকারোর কথায় নিজের জীবন চালাতে নারাজ। বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে নেটদুনিয়ার অন্যতম সেনসেশন তিনি, তা নিঃসন্দেহে বলা চলে।