পুজোয় টানা ১১ দিন ছুটি। কালী পুজোতে এক ধাক্কায় ছুটি তিনদিন। তারপর ভাইফোঁটাতেও আর অফিস যেতে হবে না রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের। ২৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিল রাজ্য অর্থ দপ্তর।
ইতি মধ্যেই বিশ্ব দরবারে পৌঁছে গিয়েছে বাঙালির শারদ উৎসব। এক সেপ্টেম্বর পূজোয় ইউনেস্কোর স্বীকৃতি উদযাপনে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে রানী রাসমণি এভিনিউ পর্যন্ত হয়েছিল বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। ১৩৫ টি পুজো কমিটির সদস্যরা একসাথে এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেছিলেন। শুধু তাই নয় এ বছর মহালয়ার আগেই পূজোর উদ্বোধন শুরু করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনো দেবীর বোধন হয়নি। ৩০ সেপ্টেম্বর থেকেই পূজোর ছুটি পড়ে গিয়েছিল সরকারি অফিসে আর সেই ছুটি শেষ হয়েছে ১০ অক্টোবর লক্ষ্মী পুজোর দিন। ২৪ অক্টোবর কালীপুজো। আর দীপাবলিতে এবার তিনদিন ছুটি পাবেন সরকারি কর্মচারীরা। সঙ্গে জুড়ে গেল ভাই ফোঁটা। অর্থাৎ শনিবার থেকে ধরলে আগামী সপ্তাহে টানা ৫ দিন ছুটি পেতে চলেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা।
অন্যদিকে আবার মহার্ঘ ভাতা মামলায় হাইকোর্টে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু সেই নির্দেশ কেন কার্যকর হয়নি? হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন এই দাবি জানিয়েছিল। মহার্ঘ ভাতা মামলায় সেই নির্দেশ বহাল রেখেছিল আদালত। নবান্ন সূত্রে খবর ৩৪ শতাংশ হারে যদি সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটাতে হয় তাহলে অতিরিক্ত খরচ হবে ২৩ হাজার কোটি টাকা। এত বিপুল পরিমাণ টাকা আসবে কোথা থেকে? তাই ডিএ মামলার রায় পুনঃ বিবেচনার আর্জি জানিয়ে এবারে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই আবেদন আবারও খারিজ হয়ে যাওয়ায় চাপে পরল রাজ্য।