সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ডিভোর্স হতে চলেছে তারকা জুটি সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মালিকের। সূত্রের খবর, সানিয়া মির্জা এবং শোয়েব মালিকের ডিভোর্সের ফাইল তৈরি হয়ে গেছে। পরিবার সূত্রে খবর, কত কোটি টাকার বিনিময়ে সানিয়া মির্জা ডিভোর্স নেবেন তা নিয়ে বর্তমানে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে কোন পরিবারের তরফ থেকে এই খবরের সত্যতা স্বীকার করা হয়নি। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০১০ সালে শোয়েব মালিক তার প্রথম স্ত্রী আয়েশাকে ডিভোর্স দেওয়ার পর টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা একত্রে রয়েছেন। এমনকি ইজহান মির্জা মালিক নামে তাদের একটি ছেলে রয়েছে। সম্প্রতি তাদের বিবাহবিচ্ছেদের খবরটি সংবাদ শিরোনাম উত্তপ্ত করে রেখেছে। তবে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পিছনে কারন কি, তা নিয়ে রয়েছে একাধিক প্রশ্ন। তবে একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, শোয়েব মালিক এবং সানিয়া মির্জার বিবাহ বিচ্ছেদের পেছনের মূল কারণ আয়েশা ওমর নামে একজন পাকিস্তানি মডেল। বেশ কিছুদিন পূর্বে শোয়েব মালিক ওই মডেলের সঙ্গে ফটোশুট করেছিলেন। সেই সময় আয়েশার সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান তিনি। যদি সত্যিই তাদের ডিভোর্স হয় সেক্ষেত্রে কত কোটি টাকা খোরপোষ পেতে চলেছেন সানিয়া সে প্রসঙ্গে ধারণা নেওয়া যাক।
২০১০ সালে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার শোয়েব মালিক তার প্রথম স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকির নিকট থেকে ডিভোর্স নেন। সেই সময় তার স্ত্রীকে তিনি প্রথমে ১২ কোটি এবং পরে আরও ৩ কোটি টাকা দেন। যার পর শোয়েব মালিকের উপর ওঠা সমস্ত অভিযোগ তুলে নেন তার প্রাক্তন স্ত্রী। তবে সানিয়া মির্জার ক্ষেত্রে টাকার অংক আরও কয়েক গুন বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ভারতীয় তারকা টেনিস খেলোয়াড় সানিয়া মির্জা বর্তমানে প্রায় ১৮৪ কোটি টাকার মালিক। শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন দিয়ে তিনি বার্ষিক ২৫ কোটি টাকার মতো উপার্জন করে থাকেন। পাশাপাশি টেনিস খেলার জন্য তিনি বার্ষিক ৩ কোটি টাকা পেয়ে থাকেন ভারতীয় টেনিস বোর্ডের তরফ থেকে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিক আনুমানিক ২২৮ কোটি টাকার মালিক। তার আয়ের প্রায় সমস্ত অংশই আসে ক্রিকেট থেকে। পাশাপাশি ফটো এবং সম্প্রতি বিনোদন জগতে এন্ট্রি নিয়েছেন তিনি। স্বভাবতই দুই তারকার ডিভোর্স খোরপোষ হিসেবে ধার্য কৃত টাকার পরিমান যে নিধান্তই কম হবেনা সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।