মহার্ঘ ভাতা না পেয়ে নতুন বছরে বড় পদক্ষেপের পথে বাংলার সরকারি কর্মচারীরা, প্রবল চাপে পড়বে সরকার

আগামী ৮ জানুয়ারি তারিখে অবশেষে কার্যকরণী বৈঠকে বসতে চলেছে সরকারি কর্মচারী পরিষদ এবং সেই বৈঠকে বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন কোন পথে এগোবে সেই নিয়ে নতুন রূপরেখা তৈরি হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী সমিতিগুলির যৌথ সংগঠন কো-অর্ডিনেশন কমিটি জানিয়েছে এই বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নবান্ন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করতে পারে তারা। তাছাড়া প্রয়োজনে ধর্মঘটের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ইউনিটি ফোরামের তরফে জানানো হয়েছে মহার্ঘ ভাতা না দেওয়ার প্রতিবাদে আগামী ২৭ জানুয়ারি কলকাতা পুরসভার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করবেন সরকারি কর্মী, শিক্ষক এবং গ্রুপ ডি কর্মীরা। সেদিন সরকারি কর্মীরা গণছুটির ডাক দিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। এদিকে কো-অর্ডিনেশন কমিটির বক্তব্য প্রশাসনের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উপর ভয়ংকর আক্রমণ চলছে। প্রশাসনের আমলাদের একাংশ সরাসরি শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন বলেও উঠছে অভিযোগ।

সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশীষ শীল সংবাদমাধ্যমের কাছে কয়েকদিন আগে অভিযোগ করেছিলেন, ভারতের প্রতিটি রাজ্যের কর্মচারীরা মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন। কিন্তু এই রাজ্যে মহার্ঘ ভাতা পাওয়া যাচ্ছে না। দিনের পর দিন সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই সরকার অপরাধী। এদের কোনো রকম অর্থনৈতিক শৃঙ্খলা নেই। রাজ্যে সব জায়গায় সমস্ত খরচ হচ্ছে কিন্তু মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার সময় শুধু সরকারের অজুহাত। আমরা সুপ্রিমকোর্টে লড়ছি। ৮ তারিখের সভায় বৃহত্তর আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করব আমরা।

অন্যদিকে ইউনিটি ফোরামের আবহবায়ক দেবপ্রসাদ হালদার সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, সরকারি কর্মচারীদের প্রতি রাজ্য সরকারের এই বঞ্চনা নিয়ে তারা প্রতিবাদ জানাবেন। এই প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৭ তারিখ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে গণছুটি পালন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেবপ্রসাদ বাবু। তিনি বলছেন, ‘এটা শুধু সময়ের অপেক্ষা, এবার সরকারকে সমস্ত কিছু শোধ করতে হবে।’ অন্যদিকে আবার জানা গিয়েছে, আগামী ১৬ই জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টে মহার্ঘ ভাতা মামলার শুনানি হতে পারে। শীর্ষ আদালতের ওয়েবসাইটে মহার্ঘ ভাতা মামলার সম্ভাব্য শুনানির দিন হিসেবে ১৬ই জানুয়ারি তারিখটিকে ধার্য করা হয়েছে। তবে এই দিনেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা মামলার শুনানি হবে কিনা, সেই নিয়ে এখনো পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কোন কিছু জানানো হয়নি।