প্রীতম দাস, নিজস্ব প্রতিনিধি: মহালয় বাঙালির ঐতিহ্য ও সেই সঙ্গে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের সূচনা ঘণ্টা বটে। পিতৃ পক্ষ পেরিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা। এদিন পিতৃপুরুষ দের উদ্দেশ্য তর্পণ করা হয় যাতে তাদের আত্মা শান্তি ও তারা পরলোকে সুখে থাকতে পারেন। মহালয়া মানেই ভোরবেলা উঠে স্নান করা ও চণ্ডীপাঠ শ্রবণ কিন্তু এই ভোরবেলা ওঠার পেছনে একটা অনেক বড়ো কারণ আছে যা আপনাকে স্তম্ভিত করে দেবে।
মহালয়া দিন আপনি যদি ভোরে না ওঠেন বা ঘুম ভেঙে গেলেও না ওঠেন বা ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে আপনাকে অনেক কর্মবাধার সম্মুখীন হতে পারেন ! জীবনে চলার পথে বাধা আসতে পারে ! এবার ২০১৯ মহালয়া শনিবার এবং এইদিন অমাবস্যা পড়েছে। ফলে এইবারের মহালয়া শাস্ত্রীয় মতে ও তন্ত্রবিদ দের কাছে বিশেষ মহত্বপূর্ণ। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে শনিবার যুক্ত অমাবস্যা। শনিবার যুক্ত অমাবস্যা কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। কারণ, এইদিন খুব কম পাওয়া যায় আর এইদিন তান্ত্রিকদের জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ, এই দিন ব্ল্যাক ম্যাজিক, বিভিন্ন ধরনের তন্ত্র ক্রিয়া সফল হয় !!
এইদিন কবরস্থান, খালি চৌমাথা, সুনসান গাছের তল ও সুনসান পুকুর ঘাট ( জীর্ণ শীর্ণ ঘাট হলে আরো অনুচিত ) এর কাছে না থাকাটাই ভালো । কারণ , এমন দিনে ইতর যোনি অর্থাৎ ভুত প্রেতাদি অতীব সক্রিয় থাকে ! তাই এদের ছায়া , নজর , ভর , পেছনে পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে এইসব জাইগা থেকে সরিয়ে চলা উচিত ও এই ধরনের দিনে সাবধানে থাকা উচিত সাধারণদের জন্য।
২০১৯ এ মহালয়া ও শনিবার যুক্ত অমাবস্যা একই দিন হওয়াতে এই দিন বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে সাধারণদের বিভিন্ন অশুভ প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য! তবে বৈজ্ঞানিক ভাবে এসবের কোনো ব্যাখ্যা নেই ও বিজ্ঞান এই সব জিনিসকে মানে না , কুসংস্কার বলে মনে করে। তবে ভারতীয় তন্ত্রশাস্ত্র তে এর বিশাল বর্ণন আছে।