ভারতে ট্রেন পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। দূরে কোথাও যাওয়ার জন্য মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে খরচে কম সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় এক্সপ্রেস ট্রেনের মাধ্যমে। ভারতীয় রেল বর্তমানে দেশবাসীর কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আনছে। আর তার উদাহরণ হল গোটা ভারতে বন্দে ভারত ট্রেনের রুট চালু করা। সাধ্যের মধ্যে খরচ করে ভারতীয় রেলওয়ে ব্যবহার করতে পছন্দ করেন সকলেই। দূরে কোথাও যেতে হলে এক্সপ্রেস ট্রেনে আগে থাকতেই ট্রেনের টিকিট বুক করতে হয়। তবে অনেক সময় কনফার্ম টিকিট পাওয়া যায় না। কনফার্ম টিকিট বুকিংয়ে মানুষ যে অসুবিধার সম্মুখীন হয় তার কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল মন্ত্রক। দেশের কোটি কোটি রেলযাত্রীর সঙ্গে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে নিশ্চিত রেলের টিকিট দিতে রেল কী করতে চলেছে, সেই তথ্য জানিয়েছেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
রেলমন্ত্রীর নতুন ঘোষণা সত্যি হাসি ফুটিয়েছে কোটি কোটি মানুষের মুখে। তিনি সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে গিয়ে জানিয়েছেন যে ভারতীয় রেলওয়ে এখন টিকিট প্রদানের ক্ষমতা প্রতি মিনিটে ২৫ হাজার থেকে ২.২৫ লাখে আপডেট করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি মিনিটে এনকয়ারি ক্যাপাবিলিটি ৪ লাখ থেকে ৪০ লাখে উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। রেলমন্ত্রী বৈষ্ণব তাঁর প্রেস কনফারেন্সে আরও বলেছিলেন যে ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে, ৭ হাজার কিলোমিটার নতুন রেল ট্র্যাক স্থাপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি দেশের ২ হাজার রেলস্টেশনে ২৪ ঘন্টা ‘জন সুবিধা’ স্টোর খোলার ঘোষণাও করেছেন।
এছাড়াও রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন যে রাজধানী, শতাব্দী এবং দুরন্ত ট্রেনে ‘ফ্লেক্সি’ ভাড়া কার্যকর করা হয়েছে এবং বর্তমানে মোট ১৪৪ টি ট্রেনে ‘ফ্লেক্সি’ ভাড়া প্রযোজ্য। তিনি বলেন, বর্তমানে ‘ফ্লেক্সি’ ভাড়া প্রকল্পের পরিধি বাড়ানোর কোনো প্রস্তাব নেই। মন্ত্রী বলেছিলেন যে ২০১৭-১৮ থেকে ২০২১-২২ পর্যন্ত ৫ বছরে, ‘ফ্লেক্সি’ ভাড়া থেকে প্রাপ্ত অতিরিক্ত আয় প্রায় ৩৩৫৭ কোটি টাকা হয়েছে।