তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রী কার্যত প্রকাশ্যে জানিয়েছিলেন যে এবার তাদের লক্ষ্য কর্মসংস্থান এবং রাজ্যে বিনিয়োগ নিয়ে আসা। প্রায় দু বছর কেটে গেলেও এখনো রাজ্যে খুব একটা বড় ধরনের কিছু বিনিয়োগ আসেনি। বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এবার প্রবাসী বাঙ্গালীদেরকেই কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য সরকার। প্রবাসী বাঙালি এবং বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয় এবং ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের বিশেষ ধরনের পরিচয় পত্র দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রবাসী বাঙালি এবং ভারতীয়দের জন্য আপন বাংলা কার্ড ইস্যু করা হবে। এই কার্ডের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন বাণিজ্য সম্মেলনে সহজে হাজির হতে পারবেন প্রবাসী ভারতীয়রা। তবে এক্ষেত্রে প্রবাসী বাঙ্গালীদেরকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ বিদেশে বসবাসকারী অনেক বাঙালি বাংলার জন্য কিছু করতে চাইছেন। রাজ্য প্রশাসনের ভিতরেই বর্তমানে খবর, এই প্রবাসী বাঙালি এবং ভারতীয়দের বিশেষ পরিচয় পত্র প্রদানের মাধ্যমে রাজ্যে বিদেশী বিনিয়োগের পথ প্রসারিত করতে চাইছে রাজ্য সরকার। আপন বাংলা কার্ডে অনাবাসী ভারতীয়দের যাবতীয় তথ্যের উল্লেখ করা থাকবে। পাসপোর্ট নম্বরের পাশাপাশি তাদের পৃথক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও তিনি কোন দেশে বাসিন্দা সেটার ব্যাপারেও থাকবে উল্লেখ।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার আপন বাংলা নামের একটি পোর্টাল চালু করেছে। প্রবাসী বাঙালি এবং ভারতীয়রা এই পোর্টালের মাধ্যমে সেখানে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারেন এবং সেখান থেকে কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন। পোর্টালে ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য দিয়ে নাম-নথিভুক্ত করলে পরিচয় পত্র তৈরি হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পোর্টাল চালুর পাশাপাশি চালু করা হবে বিশেষ সহায়তা কেন্দ্র যাতে প্রবাসী বাঙালি এবং ভারতীয়দের কোনো রকম কোনো অসুবিধা না হয়। এই কার্ড থাকলে বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন সহ কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এই কার্ডের মাধ্যমে প্রবেশ করা যাবে। এমনকি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগদানের ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে রাজ্য সরকার।