উত্তরের পর এবার দক্ষিণ কলকাতার চারটি ওয়ার্ডে ওয়াটার মিটার বসানোর কাজ শুরু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। জল নষ্ট রুখতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তবে মিটার বসলেও এখনই জলের উপরে কর বসানোর কোন পরিকল্পনা নেই কলকাতা পৌরসভার। উত্তর কলকাতার পর দক্ষিণ কলকাতার ১০১, ১০২, ১০৭ ও ১১০ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি ওয়াটার মিটার বসানোর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ২০১৭ সালে শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতার মেয়র থাকাকালীন সময়ে উত্তর কলকাতার ১ থেকে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে ওয়াটার মিটার বসানো হয়েছিল। তারপরে এবার সেই প্রজেক্টকে নতুনভাবে শুরু করতে চলেছে কলকাতা পৌরসভা।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের থেকে এর জন্য ২০০ কোটি টাকার বেশি অনুদান পেয়েছে কলকাতা পৌরসভা। মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলছেন, ওয়াটার মিটার বসালে পরিবার পিছু কত জল অপচয় হচ্ছে সেই তথ্য হাতে আসবে। এর সাথেই কত জল লিকেজ হচ্ছে সেটাও সম্পূর্ণরূপে জানা যাবে। কলকাতা পৌরসভা এলাকার বিভিন্ন ওয়াটার প্লান্টে যে পরিমাণ জল পরিশোধন করা হয়, তাতে কলকাতা পৌরসভা এলাকার বাসিন্দাদের মাথাপিছু দৈনিক ৪০ লিটার জল দেওয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায়, বিভিন্নভাবে এই জল নষ্ট হচ্ছে এবং এর ফলে জল পরিশ্রুত করার খরচ অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে। এর ফলে প্রায় কয়েকশো কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী সরবরাহ করা জলের ১৫ শতাংশের বেশি কোনোভাবেই নষ্ট করা যাবে না। কিন্তু কলকাতা শহরে দৈনিক সরবরাহ করা জলের ৩০ শতাংশ অপচয় হচ্ছে। তবে মিটার বসলেও এখনই জলের উপরে কর বসানোর কোন পরিকল্পনা নেই বলে দাবি করেছে কলকাতা পুরসভা। ধীরে ধীরে অন্য ওয়ার্ডের ক্ষেত্রেও এই ওয়াটার মিটার বসানো হবে বলে জানানো হয়েছে পুরসভা সূত্রে। অন্যদিকে আবার খিদিরপুরে জমা জলের সমাধানে পাম্পিং স্টেশন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কলকাতা পৌরসভা। সেখানে তৈরি হয়েছে একটি বিশাল স্যাম্প। এই পাম্পিং স্টেশন ও বিশাল কুয়ার ফলে জমা জলের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবে শহরবাসী।