বর্তমানে দেশের সমস্ত নাগরিকের জন্য আধার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট হয়ে উঠেছে। ব্যাংকিং লেনদেন থেকে শুরু করে এলপিজি সিলিন্ডার প্রভিডেন্ট ফান্ড একাউন্ট থেকে শুরু করে সরকারি স্কলারশিপ বা যেকোনো যোজনা সুবিধা পাওয়ার জন্য আধার নম্বর থাকা অত্যন্ত জরুরী। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্ট অনুযায়ী যদি কোন ব্যক্তির মৃত্যু হয় তারপর তার আধার নম্বর ডিএক্টিভেট হয়ে যাবে, এরকম কোন ব্যবস্থা আপাতত নেই। তবে ইউআইডিএআই এবং রেজিস্টার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া এরকম একটি মেকানিজমের উপরে ইতিমধ্যেই কাজ করতে শুরু করেছে, যেখানে আধার কার্ড হোল্ডার এর মৃত্যুর পর তার আধার নম্বর ডিএক্টিভেট হয়ে যাবে। ডেথ সার্টিফিকেট এর মাধ্যমেই এটা করতে হবে। যতদিন না পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত মৃত্যুর পর নমিনির বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে আধার কার্ড ব্লক করে দেওয়া যাবে। এর জেরে প্রতারণা থেকে বাঁচা সম্ভব। ইউআইডিএআই এর ওয়েবসাইটে গিয়ে এই কাজ আপনি করতে পারেন।
আধারের পাশাপাশি প্যান কার্ড ও একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। ব্যাংক একাউন্ট, ডিম্যাট একাউন্ট এবং ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করার সময় প্যান নম্বরে দরকার পড়ে থাকে। একইভাবে কোন ব্যক্তির মৃত্যুর পর যখন তার সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয় তখন প্যান নম্বর সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন ফাইল করার পর রিটার্ন পাওয়া বা বকেয়া ট্যাক্স জমা করার পর প্যান কার্ড আয়কর বিভাগের সারেন্ডার করে দিতে হবে আপনাকে। ইনকাম ট্যাক্স ওয়েবসাইট থেকে নির্দিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ আপনি করতে পারেন এবং তাকে আবেদন পাঠিয়ে আপনি প্যান নাম্বার সারেন্ডার করতে পারেন।
মৃত্যুর পর ভোটার কার্ড ক্যান্সেল করা অত্যন্ত জরুরি। এর জন্য আপনাকে ফর্ম ৭ ফিলাপ করে মৃত্যুর প্রমাণপত্র দিয়ে স্থানীয় নির্বাচন কার্যালয় গিয়ে জমা করতে হবে এবং ভোটার লিস্ট থেকে তারপর নাম সরিয়ে দেওয়া হবে। মৃত্যুর পর পাসপোর্ট সারেন্ডার করে দিতে হয় অথবা একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার পর নিজে থেকেই পাসপোর্ট ইনভেলিড হয়ে যায়। তবে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আপনাকে আরটিও অফিসে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স সারেন্ডার করতে হবে। ওই ব্যক্তির নামে রেজিস্টার গাড়ি থাকলে নাম ট্রান্সফার করে নিতে হবে এর মধ্যেই।