৫৫ বছর বয়স হয়ে গেল এখনো অক্ষয় কুমার বলিউডের সিনেমায় মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন। আজকাল অক্ষয় কুমারের ছবিগুলি খুব একটা হিট না হলেও, এখনো বলিউডে তিনি একটি বড় নাম। একটা বড় সময় ধরে অক্ষয় কুমার একের পর এক ফ্লপ সিনেমা দিয়ে আসছেন। এমনকি তার শেষ সিনেমা সেলফি মানের দিক থেকে বেশ ভালো হলেও, বক্স অফিসে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি। ৯০ এর দশকেও এরকমই কিছু একটা সম্মুখীন হয়েছিলেন অভিনেতা। সেই সময় অভিনেতার প্রায় ডজন খানেক সিনেমা ফ্লপ দিয়েছিল। যে অভিনেত্রীর সাথে অক্ষয় কুমার প্রথমবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছিলেন, তিনি একটা সময় অভিনেতার নাম শুনলেই চলচ্চিত্র প্রত্যাখ্যান করতেন।
১৯৯২ সালে অক্ষয় কুমার করিশমা কাপুরের সাথে ‘দিদার’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। সেই ছবিটি বক্স অফিসে সুপার ফ্লপ হয়েছিল। একেবারেই বক্স অফিসে চলতে পারেনি এই ছবিটি। এরপরে সপুত, ময়দান- এ – জঙ্গ, লাহু কে দো রং, এর মত একাধিক ছবি অক্ষয় কুমারের ফ্লপ গিয়েছিল। শেষ ছবিটি ফ্লপ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অক্ষয় কুমারের সাথে জুটি বাঁধতে মানা করতে শুরু করেন করিশমা কাপুর। আসলে সেই সময় করিশমা কাপুরের ক্যারিয়ারের গ্রাফ বেশ উপর দিকে উঠতে শুরু করেছে। তাই সেই সময় তিনি ফ্লপ ছবি করতে চাইছিলেন না। আর অক্ষয় কুমারের ক্যারিয়ারের গ্রাফ ছিল একেবারে নিম্নমুখী।
তনুজা চন্দ্রা যখন করিশ্মাকে সংঘর্ষ ছবির স্ক্রিপ্ট বর্ণনা করেন, তখন তিনি ছবিটি করতে রাজি হন কিন্তু অক্ষয় কুমারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কথা জানালে, তিনি ছবিটি করতে অস্বীকার করেন। এরপর এই ছবিতে অভিনয় করেন প্রীতি জিন্টা। এই ছবি সাফল্যের কথা নতুন করে কাউকে বলার দরকার নেই। সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ছবিটি ১০ কোটি টাকা আয় করেছিল সেই সময়।
তেমনি কিছু একটা ঘটেছিল প্রিয়দর্শনের সুপারহিট ছবি হেরা ফেরির ক্ষেত্রে। বলা হয়, করিশমা কাপুর নিজেই প্রিয়দর্শনের সঙ্গে কাজ করতে চেয়েছিলেন। যেহেতু সেই সময় করিশমা একজন বড় তারকা ছিলেন, তাই প্রিয় দর্শনের একটি বড় ব্যানারের ছবির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। যখন হেরাফেরি ছবিটি এসেছিল তখন করিশমাকে প্রথম প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় স্ক্রিপ্ট পড়ে তিনি অত্যন্ত উত্তেজিত হয়েছিলেন। কিন্তু তারপর যখন জানতে পারেন এই ছবিতে অক্ষয় কুমার রয়েছেন, তখন তিনি ব্যক্তিগত সমস্যার কারণ দেখিয়ে ছবিটি ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে এই ছবিটি একেবারে সুপারহিট হয়। এতটাই জনপ্রিয় হয় এই ছবিটি যে, পরে এর সিক্যুয়েলও তৈরি করা হয়েছিল। যদিও, অক্ষয় কুমার এবং করিশমা কাপুর দুজনেই খুবই ভালো বন্ধু। অক্ষয় এখনো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সক্রিয় থাকলেও করিশমা কাপুর এখন সিনেমা জগৎ থেকে কিছুটা সরে গিয়েছেন। তবে বহুদিন পরে আবারো তিনি ওটিটি প্লাটফর্মে ব্যাক করছেন।