বর্তমান প্রজন্মের কাছে আদাহ্ শর্মা অন্যতম পরিচিত একটি নাম। ২০০৮ সাল থেকেই এই অভিনয় জগৎ-এ তার পথ চলা শুরু হয়ে গিয়েছে। ভৌতিক ছবি ‘১৯২০’র হাত ধরেই ইন্ডাস্ট্রিতে ডেবিউ ঘটেছিল তার। তবে এরপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। হিন্দি ছাড়াও তামিল, তেলেগু ও কন্নড় ভাষাতেও অভিনয় করেছেন তিনি। তবে তার অভিনীত ‘দ্যা কেরালা স্টোরি’ তাকে এনে দিয়েছে জাতীয় মানের খ্যাতি।
শোনা যায়, অভিনেত্রী দশম শ্রেণীর পরেই পড়াশোনা ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। তবে সেইসময় তাকে আরো পড়াশোনা করার পরামর্শই দিয়েছিলেন তার বাবা-মা। পরে অবশ্য নিজের অভিভাবকদের সমর্থন এই দ্বাদশ শ্রেণীর পর পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। অবশ্য দশম শ্রেণীর পরেই তিনি অভিনয় করবেন সেকথা ঠিক করে নিয়েছিলেন। দ্বাদশ শ্রেণীর পরেই আদাহ্ প্রবেশ করেন এই অভিনয় জগৎ-এ।
অনেকেরই হয়তো অজানা একজন ভালো অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি তিনি একজন দক্ষ ও নৃত্যশিল্পীও। বেলি নাচে দক্ষ তিনি। তিনবছর বয়স থেকেই নাচ শিখেছেন তিনি। নিজের মায়ের কাছেই নাচের হাতেখড়ি তার। উল্লেখ্য, অভিনেত্রীর মা একজন দক্ষ শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী ও যোগ শিক্ষিকা। দ্বাদশ শ্রেণির পর একাডেমিক লাইনে পড়াশোনা না করলেও, মুম্বাইয়ের নটরাজ গোপী কৃষ্ণ কত্থক ডান্স একাডেমি থেকে কত্থকে স্নাতক হয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ব্যালে, সালসা ও জ্যাজও শিখেছিলেন অভিনেত্রী।
এই মুহূর্তে দক্ষ তরুণ অভিনেত্রীদের মধ্যে একজন আদাহ্। তার অভিনয়, সৌন্দর্য সবটাই মুগ্ধ করে তার ভক্তমহলের একাংশকে। সম্প্রতি তার অভিনীত ছবি ‘দ্যা কেরালা স্টোরি’কে তুলনা করা হচ্ছে ‘দ্যা কাশ্মীর ফাইলস’এর সাথে। শুরুতে এই ছবির পরিচালক জাতীয় মানের কোন অভিনেত্রীকেই এই ছবির মুখ্য চরিত্রে দেখতে চেয়েছিলেন। তবে সেভাবে কেউ এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য আগ্রহ না দেখালে, শেষে আদাহর কাছে যান পরিচালক। আর এই ছবিতে অভিনয় করেই এই মুহূর্তে জাতীয় স্তরে অভিনেত্রী হিসেবে চর্চিত ও প্রশংসিত আদাহ্ শর্মা।