মুম্বাইয়ের বিখ্যাত কর্ডেলিয়া ক্রুজ ড্রাগ মামলার সাথে যুক্ত একজন এনসিবি অফিসারের বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) এই অফিসারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে বলে জানা যাচ্ছে। বরখাস্ত এসপি বিশ্ব বিজয় সিং সেই কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন যারা ২০২১ সালে একটি ক্রুজে অভিযান চালিয়ে অভিনেতা শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে গ্রেপ্তার করেছিলেন।
ইন্ডিয়া টুডে-র সঙ্গে যুক্ত দিব্যেশ সিং-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্ব বিজয় সিং NCB-এর মুম্বাই অফিসে তৎকালীন সময়ে এসপি ছিলেন এবং আরিয়ান খান মামলার তদন্তকারী অফিসারও ছিলেন। আরিয়ান খান ক্লিন চিট পাওয়ার পর, এনসিবি দিব্যেশকে অন্য মাদক আটকের মামলায় দুর্নীতির অভিযোগে সাসপেন্ড করে। এই মামলাটি ২০১৯ সালের এবং ২০২২ সালে তার বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশের ব্যবস্থা হয়েছিল। সম্প্রতি, এই বিষয়ে একটি নতুন প্রতিবেদন এসেছে, যাতে বিশ্ব বিজয় সিংকে চাকরি থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর এর পরেই সম্পূর্ণভাবে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
অন্য এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও চাকরি থেকে বরখাস্তের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেই NCB কর্তার নাম বিশ্বনাথ তিওয়ারি। তার মামলাটি ২০১৬ সালে ঘটেছিল, যখন তিওয়ারি NCB-তে গোয়েন্দা অফিসার ছিলেন। তার বিরুদ্ধে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভাগের অনুমতি ছাড়া সিঙ্গাপুরে ভ্রমণের অভিযোগ ছিল। তদন্তের পর বিশ্বনাথ তিওয়ারিকেও চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
ক্রুজ ড্রাগস কেস কি ছিল?
২ অক্টোবর, ২০২১-এ, NCB মুম্বাইয়ের কর্ডেলিয়া ক্রুজে অভিযান চালায়। এনসিবি ক্রুজ জাহাজে একটি রেভ পার্টির খবর পেয়েছিল। এই মামলায় আরিয়ান খানসহ মোট ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ৬ জনকে আটক করা হয়ে। এ মামলার একজন আসামি ছাড়া বাকি সবাই জামিন পেয়ে বাইরে বেরিয়েছেন। এই মামলায় আরিয়ান খানকে তিন সপ্তাহের বেশি জেলও খাটতে হয়েছিল। এসআইটি তদন্তের পরে, ৬ নভেম্বর আরিয়ান জামিন পান।
তাহলে তদন্তে কী বেরিয়ে এল?
২৭মে, ২০২২-এ, মামলার তদন্তের পরে, এনসিবি বিশেষ এনডিপিএস আদালতে কর্ডেলিয়া ক্রুজ ড্রাগস মামলায় একটি ৬,০০০ পৃষ্ঠার চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিট অনুযায়ী, এনসিবি-র এসআইটি শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান যে, আন্তর্জাতিক মাদক চোরাচালান সিন্ডিকেটের অংশ ছিল তার কোনও প্রমাণ খুঁজে পায়নি। এনসিবি-র ডিডিজি সঞ্জয় কুমার সিং একটি বিবৃতি জারি করে বলেছেন, ‘আরিয়ান ও মোহক ছাড়া বাকি সব আসামির কাছে মাদক পাওয়া গেছে। এখন ১৪ জনের বিরুদ্ধে NDPS আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রমাণের অভাবে বাকি ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে না।’