গত নবমীর রাতে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে গর্ভবতী স্ত্রী ও পুত্রসহ খুন হন স্কুল শিক্ষক বন্ধুগোপাল পাল। তারপর থেকেই এই হত্যাকাণ্ডে তদন্তে নেমেছে জেলা পুলিশ। পুলিশের সহায়তা করছে সিআইডিও। সেই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এবার এক নাটকীয় মোড় নিল। পুলিশ আটক করেছে সৌভিক বণিক ও মৃত বন্ধুপ্রকাশ পালের বাবা অমর পালকে।সৌভিক বণিক বন্ধুপ্রকাশের বন্ধু। আপাতত জিয়াগঞ্জ থানায় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। সৌভিক ও অমর পালের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই খুনের রহস্য খুলবে বলে মনে করছে তদন্তকারীরা।
সম্পত্তিগত কারণে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়া চলছিল বাবা এবং ছেলের মধ্যে, বলছে পুলিশ সূত্র। জানা গিয়েছে নিহত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশের ছোট থাকতেই তাঁর বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তারপর থেকেই মায়ের সঙ্গে সাগরদিঘীতে থাকতেন তিনি। এবং তাঁর বাবা অমর পাল থাকতেন রামপুরহাটে। নিহত বন্ধুপ্রকাশের মা অভিযোগ করেছেন, অমর পালের দ্বিতীয় বিবাহের পর, ছেলে বড় হতেই বাবা এবং ছেলের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। তাঁদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিবাদও শুরু হয়। সেই বিবাদ আদালত পর্যন্তও গড়ায়। সম্পত্তিগত বিবাদের জেরেই শিক্ষকের পরিবারের খুন হয়ে থাকতে বলে আশঙ্কা তদন্তকারীদের। এই সন্দেহের ভিত্তিতেই আটক করা হয় অমর পালকে।
অপরদিকে মৃত শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পালের মৃত স্ত্রী বিউটি পালের মা জানান, চড়া সুদে ধার করে অন্তত ৭-৮ লক্ষ টাকা সৌভিককে দিয়েছিলেন তাঁর জামাই। কিন্তু টাকা ফেরত দিত না সৌভিক। টাকা ফেরতের কথা বললেই খুনের হুমকিও দিত সে। আর্থিক বিবাদের জেরে সপরিবারকে খুন করার সন্দেহে পুলিশ আটক করেছে সৌভিক বণিককে। তবে প্রশ্ন একটাই। বন্ধু না বাবা?… তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। রহস্যটা খুব শীঘ্রই সামনে আসবে বলে আশাবাদী তদন্তকারীরা ।