ফিল্ম দুনিয়ার সবথেকে বড় তারকাদের মধ্যে অন্যতম হলেন ধর্মেন্দ্র। তিনি শুধুমাত্র তার সিনেমার জন্য নয় তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও মাঝেমধ্যেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। আপনারা হয়তো সকলেই জানেন ধর্মেন্দ্রর দুটি বিয়ে। তার প্রথম বিয়ে হয়েছিল পাঞ্জাবের মেয়ে প্রকাশ কৌরের সাথে। তারপরে ১৯৮০ সালে বলিউডের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনীকে তিনি বিয়ে করেছিলেন প্রকাশকে ডিভোর্স না দিয়েই। আজ আমরা আপনাকে বলতে যাচ্ছি এই দুটি বিবাহের পরেও ধর্মেন্দ্র আরো একজনের সাথে সম্পর্কে ছিলেন এবং তাদের দুজনের সম্পর্ক বিয়ে অব্দি গড়াতে পারতো যদি হেমা মালিনী মাঝখানে না আসতেন।
সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী একটা সময়ে ধর্মেন্দ্র এবং অনিতা রাজের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। সেই সময় কারিশমা কুদরত কা, ইনসানিয়াত কা দুশমন, নৌকর বিবি কা, জলজলা এর মতো ছবিতে একসাথে কাজ করেছিলেন দুজন। শোনা যায় এতগুলো ছবিতে কাজ করার পরে তাদের দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়ে গিয়েছিল। যদি রিপোর্ট বিশ্বাস করা হয় তাহলে ধর্মেন্দ্র এবং অনিতা রাজের এই ব্যাপারটা ফিল্ম দুনিয়ায় বেশ চর্চার মধ্যে ছিল একটা দীর্ঘ সময় ধরে। অনেক প্রযোজক এবং পরিচালকের কাছেও অনিতার ব্যাপারে প্রস্তাব নিয়ে গিয়েছিলেন ধর্মেন্দ্র। তবে হেমা মালিনী যখন বিষয়টি জানতে পারেন তখন বাড়িতে একেবারে হৈচৈ পড়ে যায়। তিনি ধর্মেন্দ্র কে অবিলম্বে অনিতার থেকে দূরে সরে যাবার নির্দেশ দেন।
অনিতার আজ তার সময়ের বিখ্যাত শিল্পী জগদীশ রাজের মেয়ে। জগদীশ রাজ বলিউডের বেশ কয়েকটি ছবিতে পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে তার নাম রয়েছে ১৪৪ টি ছবিতে পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য। তার বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বড়পর্দায় পা রেখেছিলেন অনিতা। তবে শুধুমাত্র বড় পর্দাই নয় টিভি সিরিয়ালেও তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর ১৯৮৬ সালে চলচ্চিত্র নির্মাতা সুনীল হিঙ্গরাণীকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।