ঘূর্ণাবর্ত পরিবর্তিত হয়েছে নিম্নচাপে, যার ফলে ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে বাংলার আবহাওয়া। জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময় পার হয়ে গেলেও বৃষ্টিপাতের ঘাটতি রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। কলকাতাতেও বৃষ্টি প্রতি বছরের তুলনায় অনেকটাই কম হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১ জুন থেকে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কথা। সেই নিরিখে দক্ষিণবঙ্গে এখনো পর্যন্ত ৩৬ শতাংশ বৃষ্টির ঘাটতি রয়েছে।। তবে কলকাতাতে বৃষ্টির ঘাটতি ৪৭ শতাংশ। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে ২১ শতাংশ বেশি। ফলে সারা বাংলায় বৃষ্টিপাতের একটা তারতম্য লক্ষ্য করা গিয়েছে।
আবহাওয়াবিদদের একাংশের মতে বর্ষা এ বছর অনেকটা দেরি করে ঢুকেছে। পাশাপাশি উপযুক্ত সিস্টেম তৈরি না হওয়ার কারণে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের ঘাটতি হয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে নিম্নচাপ তৈরি হলে কি বৃহস্পতিবার থেকেই ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণের জেলাগুলিতে? আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর যদিও এই সম্পর্কে এখনই মতামত দিতে নারাজ। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে এই মুহূর্তে একটি ঘূর্ণাবর্ত্য অবস্থান করছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও মৌসুমী অক্ষরেখা ওড়িশা লাগোয়া একটি জায়গায় অবস্থান করছে। এর ফলে ওড়িশা, ছত্রিশগড় এবং তেলেঙ্গানার আবহাওয়ায় বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
কিন্তু দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টিপাত নিয়ে এখনই আসার কথা শোনাতে পারেনি হাওয়া অফিস। অর্থাৎ উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টিপাত হতে পারে। তাপমাত্রা কমলেও আপেক্ষিক আদ্রতার জন্য বাড়ছে অস্বস্তি। বুধবার বৃষ্টি হবে কিনা সেই নিয়ে এখনো পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর কাছাকাছি। বুধবার দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলাতেই ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে কিছু কিছু জায়গায়। তবে একুশে জুলাই থেকে কলকাতায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। হালকা বৃষ্টিপাত হলেও আদ্রতার জনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে দক্ষিণবঙ্গে। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে কোন ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস এই মুহূর্তে নেই। তাপমাত্রার বিশেষ বদলেরও সম্ভাবনা নেই।