আজকের দিনে অনলাইনে লেনদেন অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে এবং বিশেষ করে করোনাভাইরাসের সময় থেকে অনলাইনে লেনদেন অনেকটাই বেড়েছিল। এখনো সেই ধারা অব্যাহত রয়ে গিয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনলাইনে লেনদেন হু হু করে বাড়ছে। এমনকি এখন ফুটপাতের বিভিন্ন দোকানে কিউআর কোড চালু হয়ে গিয়েছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে অনলাইনে টাকা মিটানোর প্রবণতা অনেকটা বেশি। ইতিমধ্যেই মেট্রোতে কিউআর কোড নির্ভর টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আর এবারে বেসরকারি বাসে এই কিউআর কোড ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা নিয়ে এসেছে বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন। এই নিয়ে বেসরকারি বাস মালিক সংস্থা কয়েক দফায় বৈঠক ইতিমধ্যেই করে ফেলেছে। তাতে পরিবহন দপ্তরের তরফ থেকে আগ্রহ দেখানো হয়েছে। এরপর এই বাস মালিকরা নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য উদ্যোগী হয়ে উঠেছেন।
এতে বাস মালিকদের বক্তব্য ব্যবস্থা চালু হলে একদিকে যেমন খুচরোর সমস্যা মিটে যাবে, তেমনি বাসের টিকিট চুরি করবার বা টাকা চুরি করার প্রবণতা অনেকটা কমে যাবে। তবে তা চালু করতে একটু সময় তো লাগবে। জানা গিয়েছে এর জন্য কি নির্দিষ্ট অ্যাপ থাকবে এবং যাত্রীরা সেই অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারবেন। তারপরে, সেই অ্যাপে কত নম্বর বাসে কোথা থেকে কোথা পর্যন্ত যাবেন তা উল্লেখ করে টিকিট করতে পারবেন যাত্রীরা। এর জন্য যাত্রীদের একাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট ভাড়া কেটে নেওয়া হবে এবং মোবাইলে একটি মেসেজ পাবেন তারা। বাসে উঠে যাত্রীরা কিউআর কোড স্ক্যান করলে টিকিট মোবাইলে চলে আসবে। সে ক্ষেত্রে কন্ডাক্টর কে মোবাইলের মেসেজ দেখিয়ে দিলে হয়ে যাবে।
যে বাস সংগঠনের তরফ থেকে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে সেই সংগঠন আরও জানিয়েছে প্রতিটি বাসের ৩০ টি জায়গায় এই ধরনের কিউআর কোড থাকবে। জানা গিয়েছে পুজোর আগে এই পরিকল্পনা চালু করতে চাইছে বেশ কিছু বাস সংগঠন। বিশেষ করে নিউটাউন এবং সল্টলেক রুটের বেশ কিছু বাসে এই ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথমত এসি বাসে এই টিকেটিং ব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে একটু সমস্যা রয়েছে কারণ অধিকাংশ এসি বাস কিন্তু সরকারি বাস। এখনো পর্যন্ত সরকারি বাসে কিউআর কোড নির্ভর টিকিট কাটার ব্যবস্থা নেই। তাই সে ক্ষেত্রে হয়তো প্রথমে সরকারি বাসের মাধ্যমেই এই ব্যবস্থা চালু হবে। এই বিষয়ে সিটি সাবারবান সংগঠনের সম্পাদক টিটু সাহা বলছেন, “আমরা চাইছি কিউআর কোড নির্ভর টিকিট ব্যবস্থা চালু করতে। আমাদের কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে এবং আমরা দ্রুত এই ব্যবস্থা চালু করতে চলেছি।”