RBI Rule: ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড ব্যবহার করলে সাবধান! আরবিআই-এর পরিবর্তিত নিয়মগুলি জেনে নিন, নাহলে হবে মহা সমস্যা
ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের সতর্ক হওয়া উচিত এক্ষুনি
দেশে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড, প্রিপেইড কার্ডের নেটওয়ার্ক দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে এবং এগুলির সাথে সম্পর্কিত নিয়মগুলিও সময়ে সময়ে পরিবর্তিত হতে থাকছে। দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সম্প্রতি ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডের জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নতুন নিয়মগুলি সমস্ত ধরণের কার্ডধারীদের নিরাপত্তা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নিরাপত্তা অভিজ্ঞতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷
বাধ্যতামূলক টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন
ইলেকট্রনিক কার্ডের লেনদেনগুলিকে আরও সুরক্ষিত করতে, RBI সমস্ত ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ড পেমেন্টকে দ্বি-ফ্যাক্টর প্রমাণীকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাইপাস করে। এর অধীনে, কার্ডধারীদের একটি অতিরিক্ত যাচাইকরণের প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে একটি বিশেষ পিন বা ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়। সেক্ষেত্রে আপনার লেনদেন নিরাপদ করা যেতে পারে।
কন্ট্যাক্টলেস কার্ড লেনদেনের সীমা
আরবিআই কার্ড ধারকদের আরেকটি সুবিধা দিয়ে কন্টাক্ট লেস কার্ড লেনদেনের সীমাও সংশোধন করেছে। কার্ডধারীরা পিন প্রবেশ না করেই প্রতি লেনদেনে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত কন্টাক্ট লেস অর্থপ্রদান করতে পারেন। এই পরিবর্তনের মাধ্যমে, RBI ছোট লেনদেনের জন্য ডিজিটাল পেমেন্ট বাড়ানোর এবং সেগুলিকে সহজ করার চেষ্টা করছে।
বিদেশে কার্ড ব্যবহারের প্রচার
আরবিআই ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডের আন্তর্জাতিক ব্যবহারের উপর কিছু সীমা আরোপ করেছে। তবে, তার জন্য কার্ডধারীদের তাদের পছন্দ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য কার্ডটি সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করতে হবে। এই ফিচারের মাধ্যমে কার্ডধারীরা দেশের বাইরে তাদের কার্ডের অপব্যবহার থেকে রক্ষা পাবেন।
অনলাইন লেনদেন সতর্কতা
আরবিআই সমস্ত ব্যাঙ্ককে সমস্ত ধরণের কার্ড লেনদেনের জন্য গ্রাহকদের বাধ্যতামূলকভাবে এসএমএস এবং ইমেল সতর্কতা পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে। এই সমস্ত সতর্কতা রিয়েল টাইম আপডেটের মতো হওয়া উচিত এবং লেনদেনের সর্বোচ্চ ৫ মিনিটের মধ্যে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানো উচিত।
ব্যর্থ লেনদেনের সীমা
প্রতারণা এবং জালিয়াতি থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে, RBI ব্যর্থ কার্ড লেনদেনের উপর সীমা আরোপ করেছে। যদি একটি কার্ড লেনদেন ব্যর্থ হয়, তবে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের অর্থ ফেরত দিতে হবে। এ ছাড়া ব্যাঙ্ক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যদি ব্যর্থ লেনদেনের কোনো চার্জ নিয়ে থাকে, তাহলে তাও গ্রাহকের কাছে ফেরত দিতে হবে।