৬০, ৭০ ও ৮০-এর দশকে বলিউডে ‘ইয়াদোন কি বারাত’, ‘কিয়ামত সে কিয়ামত তক’, ‘ক্যারাভান’, ‘তুমসা নাহি দেখা’ এবং ‘বাহারন কে স্বপ্নে’র মতো অসংখ্য চমকপ্রদ ছবি উপহার পেয়েছিলেন সিন প্রেমীরা। পরিচালক নাসির হুসেনের নাতি ইমরান খানকে সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ‘কাট্টি বাত্তি’ (২০১৫) ছবিতে। ছবিটি বক্স অফিসে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল।
২০০৮ সালে ‘জানে তু ইয়া জানে না’ ছবির মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করেন ইমরান খান। ইমরানের এই প্রথম ছবি বক্স অফিসে সুপারহিট হয়েছিল। ২০১০ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আই হেট লাভ স্টোরি’ ছবিতেও ইমরান খানকে বেশ পছন্দ করেছিলেন দর্শকরা। এই ছবিতে সোনম কাপুরের সঙ্গে ইমরানের রসায়ন বেশ চোখে পড়ার মতো ছিল। এই ছবিটি ইমরান খানকে তারকার পর্যায়ে উন্নীত করেছিল।
ইমরান খান তার ক্যারিয়ারে ১৩টি ছবিতে অভিনয় করেছেন, যার মধ্যে মাত্র ৪টি হিট সিনেমাকে হিট বলা চলে। বাকি সিনেমাগুলো বলতে গেলে ফ্লপ হয়েছে। ইমরান খান বলিউড চলচ্চিত্র পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। ১৯৯২ সালে ‘জো জিতা ওয়াহি সিকান্দার’ ছবিতে শিশু শিল্পী হিসেবে কাজ করেছিলেন ইমরান। ইমরান খান স্টারকিড হতে পারেন, কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই ইমরানের তারকা খ্যাতি ধোঁয়াশায় পরিণত হয়। সাত বছর ধরে বড় পর্দা থেকে অনুপস্থিত ইমরান খান। ২০১৫ সালে ‘কাত্তি বাত্তি’ ছবিতে শেষবার দেখা যাওয়া ইমরান খান ৭ বছর ধরে কাজ খুঁজছেন। এখনও পর্যন্ত বড় কোনো ছবির ব্যাপারে ঘোষণা করেননি তিনি।
২০১১ সালে ‘মেরে ব্রাদার কি দুলহান’ ছবিতেও বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন ইমরান খান। ক্যাটরিনা কাইফ ও আলি জাফরের সঙ্গে ইমরানের এই ছবি সুপারহিট হয়েছিল। এর আগে দিল্লী বেলহিও ইমরানের হিট ছবি হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল। কিন্তু গত ৭ বছর ধরে কাজের অপেক্ষায় আছেন ইমরান। এখন দেখার বিষয় ইমরান তার তারকাখ্যাতি ধরে রাখতে পারেন কি না।