৫০ হাজার টাকার ওয়েবসাইট দিয়ে করুন ৫ কোটি টাকা আয়, জানুন কাজ করার পদ্ধতি
এই ব্যবসা আপনি বাড়িতেই শুরু করতে পারবেন
আপনি যদি নিজের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে এখনি আপনার জন্য আছে একটা দারুন সুযোগ। আপনি যদি MBA, BBA, কিংবা BCOM পড়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে একটা দারুন আয় করার উপায়। এই ধরনের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ছাত্র ছাত্রী, যারা কম্পিউটারে যেকোনো সফটওয়্যার জেনে থাকেন তারা এই ব্যবসা করতে পারবেন। অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাও খুব সহজেই এই কাজ করতে পারবেন। যদি আপনি প্রযুক্তিগত সহায়তার দিক থেকে একটু দুর্বল থাকেন, তাহলে কিন্তু আপনি একজন কর্মী ও সহকারীও নিতে পারেন। আবার আপনি যদি একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী হন তাহলেও আপনি তাদের সুযোগ খুব সহজেই পেয়ে যাবেন এই ব্যবসার ক্ষেত্রে। উপরন্তু এই ব্যবসার জন্য কোন বিশেষ প্রাইম লোকেশনের প্রয়োজন নেই। মাত্র ৫০ হাজার টাকার একটি ওয়েবসাইট থেকে আপনি প্রতিবছরে ৫ কোটি টাকার টার্ন ওভার পেতে পারেন।
পুরো ভারত ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে। অ্যামাজন এবং ফ্লিপকার্টের মতো ই-কমার্স সংস্থাগুলি প্রতি বছর হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে। তবে এমনও কিছু পণ্য রয়েছে যা বহুজাতিক বা জাতীয় অনলাইন সংস্থাগুলি বিক্রি করতে পারে না। এই কারণেই সেগুলি সারা বিশ্বে অনলাইন লোকাল মার্কেটপ্লেস খুলতে শুরু করেছে। আদতে এটি একটি ছোট ই-কমার্স ওয়েবসাইট যেখানে পুরো বাজার উপলব্ধ নয় কিন্তু একটা অংশ এখানে থাকবে। এই কারণেই এটাকে লোকাল মার্কেটপ্লেস বলা হচ্ছে। মনে করুন আপনি বিল্ডিং এর উপাদানের মার্কেটপ্লেস তৈরি করেছেন। পুরো শহরের যে কেউ বিল্ডিং উপাদান আপনার ওয়েবসাইট থেকে কিনতে পারবেন। আপনার শহরের যে কেউ এই ওয়েবসাইট থেকে বিল্ডিং এর উপাদান কিনতে পারবেন। এছাড়াও আপনার শহরের যারা যারা বিল্ডিং উপাদান বিক্রি করেন তাদেরকে আপনি এক জায়গায় লিস্ট করতে পারবেন। তাদের পণ্য বিক্রি হবে এবং আপনি কমিশন পাবেন। যদি বিল্ডিং ম্যাটেরিয়াল বিক্রেতারা আপনার শহরে হোম ডেলিভারি না করে তাহলে আপনি নিজেও হোম ডেলিভারি পরিষেবাও শুরু করতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনার অতিরিক্ত আয় করার সুযোগ রয়েছে।
তরুণরা আজকাল ই-কমার্সের ব্যবসা খুব দ্রুত বুঝে ফেলে। যেকোনো কলেজের ছাত্র বা পাস আউট স্নাতক ঘরে বসেই Shopify, WooCommerce এবং Wix-এর মতো প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এমনকি পেমেন্ট গেটওয়ে এবং শিপিং সুবিধা সহ সমস্ত সুবিধা প্রদান করা হলেও, ওয়েবসাইটের মূল্য ৫০,০০০ টাকার বেশি হবে না। তরুণ উদ্যোক্তারা সহজেই ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব চ্যানেল, গুগল বিজনেস, ফেসবুক পেজ, ফেসবুক মার্কেটপ্লেস এবং হোয়াটসঅ্যাপ কমিউনিটি ইত্যাদি ব্যবহার করে নিজের ব্যবসাকে জনপ্রিয় করতে পারেন। আর সবথেকে বড় কথা বাড়ির মহিলারাও এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন বাড়িতে বসে।
লাভ কত টাকা হবে?
প্রতিটি পণ্যের নিজস্ব মূল্য এবং নিজস্ব কমিশন কাঠামো রয়েছে। প্রাথমিকভাবে সমস্ত অর্ডার দোকানদারদের কাছে যাবে কিন্তু এক বা দুই বছর পরে যখন আপনার কাছে ডেটা থাকবে এবং প্রচুর কমিশন আয় হবে তখন আপনি প্রচুর পুঁজি জমা করে ব্যবসা আরো বড় করতে পারেন। যদি আপনি এরকমভাবে আরো বেশি ব্যবসা করতে চান, তাহলে আপনি মাত্র ৫ বছরে একটা বিশাল তহবিল তৈরি করতে পারবেন। সব ঠিকঠাক থাকলে আপনি ৫ কোটি টাকার তহবিল ভালোভাবেই বানাতে পারবেন।