কেন্দ্রীয় সরকারের যুগান্তকারী পদক্ষেপ, সরকারের এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হতে চলেছেন ৩৭ লাখ পেনশনভোগী
কোন পেনশনভোগী বেঁচে আছেন কিনা, তার প্রমাণ পত্র হিসেবে কিছু নথি ব্যাংকে নির্দিষ্ট সময় পর পর এই লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে হয়।
পেনশনভোগী কর্মচারীদের জন্য এবার বড় সুখবর দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার থেকে ছোটাছুটি না করেই বাড়িতে বসে পেনশন পাবেন কর্মজীবীরা। আজ্ঞে হ্যাঁ, সম্প্রতি ভারত সরকার এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন ঘোষণা করেছে। আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে প্রায় ৩৭ লাখ কর্মজীবী রয়েছেন যারা কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট থেকে পেনশন লাভ করেন। তবে বয়স বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে অনেকেই প্রয়োজনীয় নথি পত্র সঠিক সময়ে ব্যাংকে জমা করতে না পারায় নিজের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত হন। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তে এবার উপকৃত হবেন সবাই।
আসলে পেনশন ভোগীদের জন্য লাইফ সার্টিফিকেট জমা করানোর প্রক্রিয়ায় বিশেষ বদল ঘটিয়েছে ভারত সরকার। যার ফলে অসুস্থ কোন ব্যক্তি ব্যাংকে না গিয়েও নিজের লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে পারবেন বাড়িতে বসে। আমরা আপনাদের জানিয়ে রাখি, ২০১৪ সালে পেনশন ভোগীরা প্রথমবারের জন্য বায়োমেট্রিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। এরপর প্রতিবছর তারা নির্দিষ্ট সময়ে লাইভ সার্টিফিকেট প্রদান করে নিজের প্রাপ্যতা বুঝে নিচ্ছেন পেনশন প্রদানকারী ১৭টি সংস্থার নিকট থেকে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্ত বয়স্ক এবং অক্ষম পেনশন ভোগীদের জন্য সু-দিন বয়ে নিয়ে আসতে চলেছে। আসলে যারা শারীরিকভাবে অক্ষম অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট থেকে পেনশন পান, তাদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার জন্য আর ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না। এবার থেকে ব্যাংকের কর্মকর্তারাই ওই ব্যক্তির বাড়ি এসে ওই ব্যক্তির লাইফ সার্টিফিকেট জমা নেবেন। উল্লেখ্য, বিশেষ এই কর্মযজ্ঞ চালানোর জন্য ইতিমধ্যে ব্যাংকের কর্মীদের android ফোনের মাধ্যমে সজ্জিত করে তোলার কাজ সম্পন্ন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। চলতি বছরের ১লা নভেম্বর থেকে বিশেষ এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলেও জানা গেছে।
লাইফ সার্টিফিকেট কি?
কোন পেনশনভোগী বেঁচে আছেন কিনা, তার প্রমাণ পত্র হিসেবে কিছু নথি ব্যাংকে নির্দিষ্ট সময় পর পর এই লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে হয়। ব্যাংকের যে শাখায় ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেখানে গিয়ে লাইফ সার্টিফিকেট জমা করতে হয়। সশরীরে ব্যাংকে এই সার্টিফিকেট জমা করতে পারেন পেনশনভোগীরা। আবার বাড়িতে বসেও এই কাজ সম্পন্ন করা যায়। লাইফ সার্টিফিকেট জমা করার জন্য ওই ব্যক্তির আধার নম্বর, মোবাইল নম্বর, পেনশন পেমেন্ট অর্ডার (পিপিও) নম্বর এবং অ্যাকাউন্ট নম্বর প্রয়োজন হয়।