একবিংশ শতকের গোড়ায় মুক্তি পেয়েছিল ইমরান হাশমি (Emraan Hashmi) ও তনুশ্রী দত্ত (Tanushree Dutta) অভিনীত ফিল্ম ‘আশিক বানায়া আপনে’। এই ফিল্মটি বলিউডকে একরকম প্রাপ্তবয়স্ক করে তুলেছিল বলা যায়। তৎকালীন টিনএজ মুগ্ধ বিস্ময়ে দেখেছিল বড় পর্দায় নায়ক-নায়িকার অন্তরঙ্গতা। এই ফিল্ম ব্লকবাস্টার হিট হয়েছিল। একই সাথে ‘আশিক বানায়া আপনে’ ছিল মিউজিক্যাল হিট। হিমেশ রেশমিয়া (Himesh Reshmiya)-কে সঙ্গীত জগতে গায়ক ও মিউজিক ডিরেক্টর হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিল ‘আশিক বানায়া আপনে’। এই ফিল্মে তনুশ্রীকে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে সকলের সাবলীল মনে হলেও প্রকৃত ঘটনা ছিল অন্যরকম।
তনুশ্রী নিজেই সম্প্রতি জানিয়েছেন, এই দৃশ্যে স্বচ্ছন্দ ছিলেন না তিনি। ভারতসুন্দরী হওয়ার পর তনুশ্রী তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নবাগতা। ফলে ‘আশিক বানায়া আপনে’-র চিত্রনাট্যে রাজি হয়েছিলেন তিনি। তবে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয় প্রসঙ্গে তনুশ্রী জানান, তিনি বা ইমরান তখনও চুম্বন দৃশ্যে অস্বস্তি বোধ করতেন। কিন্তু ‘আশিক বানায়া আপনে’-র অন্তরঙ্গ দৃশ্যের সময় তাঁদের অস্বস্তি দর্শক বুঝতে পারেননি। কারণ অবশ্যই ক্যামেরার সুন্দর কাজ। এমনকি তনুশ্রী ও ইমরানের অন্তরঙ্গ দৃশ্যের সময় ঘরে উপস্থিত ছিলেন ফিল্মের পরিচালক সহ প্রায় গোটা ইউনিট। তার মাঝেই ইমরান ও তনুশ্রীর অনেকগুলি রিটেক হয়েছিল।
সকলের সামনে অর্ধনগ্ন হয়ে অভিনয় করতে হয়েছিল তনুশ্রীকে। তবে ওই দৃশ্যে অভিনয়ের পর বাড়িতে মা-বাবার সাথে ভয়ে আটচল্লিশ ঘন্টা কথা বলেননি তনুশ্রী। তবে পরে তিনি মা-বাবাকে বিষয়টি জানালে তাঁরা মেয়েকে সমর্থন করেছিলেন। ইমরানের সাথে মোট তিনটি ফিল্মে অভিনয় করেছিলেন তনুশ্রী। এই জুটি অভিনীত ফিল্ম ‘চকোলেট’-এও ছিল তাঁদের চুম্বন দৃশ্য। তবে এডিট-এর সময় ফিল্ম থেকে তা বাদ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একসময় তনুশ্রীকে ব্ল্যাক লিস্টেড করা হয়েছিল। তবে আবারও বলিউডে কামব্যাক করতে চান তনুশ্রী।