বিহারের মিথিলাঞ্চলের মাখানা তার অনন্য স্বাদের জন্য জগৎবিখ্যাত। সম্প্রতি এই মাখানা জিআই ট্যাগ পেয়েছে, যা এর গুণমান এবং উৎকর্ষকে স্বীকৃতি দেয়। মাখানা চাষের পাশাপাশি রাজ্য সরকার মাখনা প্রক্রিয়াকরণের উপরও এখন বেশ জোর দিচ্ছে। এই ধারাবাহিকতায়, রাজ্য সরকার মাখানা প্রক্রিয়াকরণ ইউনিটে ভর্তুকি দিচ্ছে।
বিহার সরকারের হর্টিকালচার ডিরেক্টরেট, কৃষি বিভাগ এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, মাখানা প্রক্রিয়াকরণের সীমাহীন সম্ভাবনার সাফল্যের অংশীদার হন। বিহার কৃষি বিনিয়োগ প্রচার নীতির অধীনে মাখানা প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য অনুদান পান। আরও তথ্যের জন্য এবং অনলাইনে আবেদন করতে, আজই উদ্যানপালন অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে যান – https://horticulture.bihar.gov.in/HORTMIS
সব খবর মোবাইলে পেতে 👉🏻
Join Nowবিহার এগ্রিকালচারাল ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন পলিসি (বিএআইপিপি) এর অধীনে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে। কৃষি প্রক্রিয়াকরণ ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের বিনিয়োগকারীদের মূলধন ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। এর অধীনে, ফল ও সবজির প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনকারী পৃথক বিনিয়োগকারীদের জন্য খরচের পরিমাণের ১৫% পর্যন্ত মূলধন ভর্তুকি দেওয়া হবে এবং কৃষক উৎপাদক সংস্থার (FPC) জন্য ২৫% পর্যন্ত।
মাখানা প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সুযোগ
মাখানা প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সম্ভাবনা অনেক। বিহারের মিথিলাঞ্চলে প্রচুর পরিমাণে মাখনা উৎপাদিত হয়। এই মাখানা প্রক্রিয়া করে বিদেশে রপ্তানি করা যেতে পারে। এছাড়াও, দেশীয় বাজারে মাখানার চাহিদাও অনেক। মাখানা থেকে বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করা যায়, যেমন মাখানা রুটি, মাখানা নুডলস, মাখানা পকোড়া ইত্যাদি। এই খাবারগুলি অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ফলে, বিহার সরকারের মাখানা প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে ভর্তুকি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বিহারের বাসিন্দারা মাখানা প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে বিনিয়োগ করতে পারেন এবং লাভবান হতে পারেন।