হরিয়ানভি তথা রাগনী নৃত্যশিল্পীদের মধ্যে অধিকাংশই এই পেশায় এসেছেন আর্থিক অভাবের জেরে। কিন্তু মুসকান বেবি (Muskan Baby)-র কাহিনী আলাদা। তিনি এই পেশায় এসেছেন নিজের প্যাশনের কারণে। মুসকানের জন্ম দিল্লির গোবিন্দপুরার একটি নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে। শৈশব থেকেই নৃত্যশিল্পী হতে চেয়েছিলেন মুসকান। যথেষ্ট প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি। নাচের প্রতিযোগিতায় অধিকাংশ সময় প্রথম স্থান অধিকার করতেন মুসকান। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে কলেজে ভর্তি হলেও মডেলিং-এর কারণে একসময় স্নাতক স্তরের পড়াশোনা ছেড়ে দেন মুসকান।
ধীরে ধীরে নাচের শো করে অর্থ উপার্জন শুরু করেন তিনি। এইভাবেই একসময় রাগনীর মঞ্চে মুসকানের প্রবেশ ঘটে। 2023 সালের 20 শে অক্টোবর মুসকানের একটি ডান্স ভিডিও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে নেটদুনিয়ায়। ডান্স ভিডিওতে মুসকানের পরনে রয়েছে সাদা রঙের ফুলস্লিভ পাতিয়ালা সালোয়ার-কামিজ। কামিজটি নেটের। কামিজ জুড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্যাটার্নের ডিজাইন। কামিজের নেকলাইন যথেষ্ট ডিপ। ফলে উন্মুক্ত রয়েছে মুসকানের ক্লিভেজ। সালোয়ার-কামিজের সাথে টিম আপ করা ওড়নাটি সবুজ রঙের। লোকসঙ্গীত শিল্পী ববি ফৌজি (Boby Fouji)-র গাওয়া গান ‘জাঠনি কা পেয়ার’ গানের সাথে ডান্স পারফরম্যান্স করেছেন মুসকান।
খোলা মঞ্চে ডান্স পারফরম্যান্স করেছেন তিনি। নাচের শুরুতে রাগনীর পরিবর্তে ভাঙড়ার ডান্স স্টেপ প্রদর্শন করেন মুসকান। এরপর ঠুমকা লাগান তিনি। নাচে তিনি মিশিয়ে দেন বলিউডও। নাচের মাঝেই মঞ্চে এসে মুসকানের হাতে টাকা দিয়ে যান একজন পুরুষ। মঞ্চের ধারে গিয়ে নিচু হয়ে ক্লিভেজ শো-অফ করেন মুসকান। পুরুষ দর্শকদের একাংশ তাঁর হাতে কিছু অর্থ দেন।
বারবার একই স্টেপ রিপিট করতে থাকেন মুসকান। এইভাবেই একসময় নাচ শেষ করেন তিনি। এখনও অবধি মুসকানের ডান্স ভিডিওর ভিউ সাড়ে চৌত্রিশ হাজার অতিক্রম করেছে।