নব্বইয়ের দশকের বাণিজ্যিক সিনেমা বলতেই গান, নাচ, রোম্যান্স আর অবশ্যই বিদেশি লোকেশন। এই লোকেশনগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হিমালয়ের পাদদেশে বা বিদেশের ঠান্ডা প্রদেশে। অভিনেতাদের মোটা জ্যাকেট, বুট সব থাকলেও অভিনেত্রীদের পোশাক বলতে হালকা শাড়ি, স্লিভলেস ব্লাউজ।
এমনই ঠান্ডার কষাঘাতে একবার পড়েছিলেন অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। অনিল কাপুরের সাথে ‘পুকার’ ছবির শুটিংয়ে আলাস্কা গিয়েছিলেন তিনি। ঠান্ডা এতটাই তীব্র ছিল যে প্রথম দিন শুটিংই বন্ধ করতে হয়েছিল। মাধুরীর কথায়, “প্রথম দিন আমি যখন ওখানে যাই, কোনোভাবেই নিজেকে ওই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারছিলাম না। ঠান্ডায় রীতিমতো জমে যাচ্ছিলাম।”
কোরিওগ্রাফার ফারাহ খান বারবার সবাইকে গান গাইতে, মাধুরীকে অনুপ্রাণিত করছিলেন। কিন্তু ঠান্ডা সহ্য করা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। একজন মেকআপ ম্যান দেখে চিৎকার করে বলেছিলেন, “প্যাকআপ! দ্রুত শুটিং বন্ধ করতে হবে!” মাধুরীর ঠোঁট নীল হয়ে গিয়েছিল। ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে তাকে দ্রুত ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরের দিন মাধুরীকে চাদর দিয়ে ঢেকে শুটিং শুরু করা হয়। ছোট ছোট অংশে শুটিং করে কোনোভাবে গানের দৃশ্যটি শেষ করা হয়।