বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বৃহৎ রেল পরিষেবা (Indian Railways) প্রদানকারী দেশ ভারত। দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম, চার দিককেই সংযুক্ত করেছে রেলপথ। উত্তরে কাশ্মীর থেকে দক্ষিণে কন্যাকুমারী বা পূর্বে অসম থেকে পশ্চিমে গুজরাট, সিকিম ছাড়া প্রতিটি রাজ্যকেই সংযুক্ত করেছে রেলপথ। তাই কম সময়ের নিকটবর্তী কোনো সফর হোক বা দূরপাল্লার সফর, অনেক মানুষই ট্রেনের উপরেই ভরসা করেন। এর অন্যতম কারণ হল ট্রেনের তুলনামূলক সস্তা টিকিট।
বিভিন্ন শ্রেণির যাত্রীদের কথা ভেবেই টিকিটের দাম নির্ধারণ করে ভারতীয় রেল। ট্রেনের টিকিটের মাধ্যমে আসন সংরক্ষণ করে বা না করে সফর করা যায়। তবে ট্রেনের টিকিট কি শুধুই সিট কনফার্ম হওয়াকেই বোঝায়, নাকি এর আরও কোনো গুরুত্ব আছে? জানলে অবাক হবেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে আরো কিছু পরিষেবা দিয়ে থাকে ভারতীয় রেল, যা এই টিকিটের মাধ্যমেই পাওয়া যায়। কী কী পরিষেবা পাওয়া যায় রেলের তরফে?
রেলে সফরকালে বিভিন্ন সুবিধা বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারে যাত্রীরা। যাত্রীদের বিনামূল্যে কম্বল, বালিশ, বিছানার চাদর এবং তোয়ালে দিয়ে থাকে রেল। কেউ যদি এগুলি না পেয়ে থাকে তাহলে তার অভিযোগ করার অধিকার রয়েছে। তবে গরীব রথের মতো কিছু ট্রেনে এই সুবিধাগুলি পেতে অবশ্য কিছু অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। এছাড়াও যাত্রীদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা পরিষেবাও পাওয়া যায় রেলের তরফে। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
ভারতীয় রেলের প্রিমিয়াম ট্রেন গুলিতে সফরকালে যদি ট্রেন দু ঘন্টার বেশি দেরি করে তাহলে রেলের তরফে বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয় যাত্রীদের। পাশাপাশি রেলের ই ক্যাটারিং পরিষেবার মাধ্যমেও আনানো যায় খাবার। শুধু তাই নয়, দেশের বড় বড় রেলস্টেশন গুলিতে রয়েছে ক্লোক রুম এবং লকার রুম, যেগুলিতে রাখা যায় লাগেজ। সামান্য কিছু টাকা দিয়েই এই রুমে এক মাসের জন্যও রেখে দেওয়া যায় লাগেজ। পাশাপাশি ট্রেনের টিকিট দেখিয়ে স্টেশনের এসি বা নন এসি ওয়েটিং রুমেও অপেক্ষা করতে পারেন যাত্রীরা।