বলিউডবিনোদন

সালমান খানকে AK-47 ও M-16 দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র, বুঝে নিন কি ছিল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের প্ল্যান

সালমান খানকে হত্যার একটা দারুন প্লট সাজিয়ে ফেলেছিল এই দুষ্কৃতি গ্যাং

Advertisement
Advertisement

আবারো বলিউড সুপারস্টার সালমান খানকে হত্যার বড় ষড়যন্ত্র করল লরেন্স বিষ্ণই গ্যাং। Ak-47, M-16 এর মতো বড় অস্ত্র নিয়ে সালমানের বাড়িতে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এই দুষ্কৃতি দলটি। সালমান খানকে হত্যা করার জন্য পাকিস্তান থেকে অস্ত্র আনানোর প্রস্তুতি নিয়েছিল তারা। এর জন্য পাকিস্তানের একজন বড় অস্ত্র ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথাবার্তা চলছিল এই দুষ্কৃতি দলের। নিরাপত্তা সংস্থা এবং পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়ে এই দুষ্কৃত দলটিকে ধরেছে ঠিকই তবে এই বিপদজনক উদ্দেশ্য এখনো পর্যন্ত যে পুরোপুরিভাবে নস্যাৎ হয়ে গিয়েছে সেটা বলা যায় না। লরেন্স বিষ্ণই গ্যাংয়ের তরফ থেকে সালমান খানের ফার্ম হাউসের উপরে বহুদিন ধরে লক্ষ্য রাখা হচ্ছিল। এই ফার্ম হাউসে হামলা চালানোর কথা ছিল এই দুষ্কৃতী দলের। পাকিস্তান থেকে অস্ত্র আমদানি করে সালমান খানের গাড়ি এবং ফার্ম হাউসে হামলা চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এই একই ভাবে বড় এবং আধুনিক অস্ত্র দিয়ে সিধু মুসেওয়ালাকে হত্যা করেছিল এই গ্যাং। সেই এফআইআর কপিতে স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে, সালমান খানকে হত্যা করার জন্যও এই একই অস্ত্র ব্যবহার কথা ছিল তাদের।

Advertisement
Advertisement

ইতিমধ্যেই নবী মুম্বাই পুলিশ এই দুষ্কৃতি দলের চারজনকে গ্রেফতার করেছে। ইতিমধ্যেই এই চারজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই চারজন হলেন ধনঞ্জয় সিং তপে ওরফে অজয় কাশ্যপ, গৌরব ভাটিয়া ওরফে নাই, ওয়াস্পি খান ওরফে ওয়াসিম চিকনা এবং জিসান খান ওরফে জাভেদ খান। সালমান খানের পানভেলের ফার্ম হাউসের উপরে রেকিং করার সময় এই চার অভিযুক্ত কে গ্রেফতার করা হয় পুলিশের তরফ থেকে। এই গোটা মামলার প্রধান অভিযুক্ত লরেন্স বিষ্ণই ও আনমোল বিষ্ণই। এছাড়াও গোল্ডি ব্রার, রোহিত গোদ্বারা, সম্পদ নেহেরা এবং রকি শুটার সহ আরো আঠারো জনের বিরুদ্ধে এফআইআর জারি করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানাচ্ছে সালমান খানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের দিকে নজর রাখছিল এই দল। সেই সময় এফআইআর-র ভিত্তিতে সালমান খানের বাড়ির সামনে থেকে সবাইকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় নথিভুক্ত একটি এফআইআর অনুসারে, সালমান খানের মুম্বাইয়ের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি বিল্ডিংয়ে ভাড়া থাকতেন সম্পদ নেহরা। এই সময় তাকে রেকি করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় তিনি বুঝতে পেরেছেন পুলিশ তার পিছনে রয়েছে। আর সেই মতো তিনি একটা প্ল্যান সাজিয়ে ফেলেছিলেন। আলাপ আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কানাডায় বসে থাকা এই দলের কর্মকর্তারা অস্ত্রের ৫০ শতাংশ অগ্রিম আগে থেকেই দিয়ে রাখবেন এবং ৫০ শতাংশ টাকা অস্ত্র হস্তান্তর হওয়ার পরে দেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের কাজ সফল হয়নি। তার আগেই গ্রেফতার হয়েছেন অভিযুক্তরা।

Advertisement
Advertisement

Related Articles

Back to top button