অবসরে পেয়ে যাবেন প্রায় ৩ কোটি টাকা, ৫০০ টাকা দিয়েই খোলা যাবে এই অ্যাকাউন্ট
জাতীয় পেনশন স্কিম বিনিয়োগের জন্য এটি একটি খুব ভাল বিকল্প। এতে বিনিয়োগ করলে অবসর গ্রহণের পরেও আয় চালিয়ে যেতে পারেন। পেনশন ফান্ড রেগুলেটরি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (পিএফআরডিএ) এই প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে চালানোর জন্য দায়বদ্ধ। এটি একটি সরকারি প্রকল্প। ২০০৪ সালে এই প্রকল্প চালু করা হয়।
২০০৪ সালে এই সুবিধা পেতেন শুধু সরকারি চাকরিজীবীরা। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে এর সুবিধা সব শ্রেণির কর্মীদের দেওয়া হচ্ছে। পেনশন সুবিধার পাশাপাশি এনপিএসে কর সাশ্রয়ও করা হয়। কর সাশ্রয়ের কারণে এই স্কিম খুবই জনপ্রিয়। এনপিএসে দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। একটি টিয়ার-১ অ্যাকাউন্ট একটি অবসর অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টটি নিয়োগকর্তা দ্বারা খোলা হয়। একই সঙ্গে টিয়ার-২ অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একে ইনভেস্টমেন্ট অ্যাকাউন্টও বলা হয়। যে কোনও বেতনভোগী ব্যক্তি এই অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন।
এনপিএসে টিয়ার-১ অ্যাকাউন্ট খোলা হয় ৫০০ টাকায় এবং টিয়ার-২ অ্যাকাউন্ট খোলা হয় ১০০০ টাকায়। এতে বিনিয়োগের কোনো সীমা পরিসীমা নেই। অনাবাসী ভারতীয়রাও ভারতীয়দের পাশাপাশি এনপিএসে বিনিয়োগ করতে পারেন। যদি কেউ তার নাগরিকত্ব পরিবর্তন করে তবে তার অ্যাকাউন্টটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ শুধুমাত্র ভারতীয়রাই এই প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
১৮ বছর থেকে ৬৫ বছর বয়সের ব্যক্তিরা এনপিএসে বিনিয়োগ করতে পারেন। এনপিএস অ্যাকাউন্ট ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া যেতে পারে। বিনিয়োগকারী যখন ৬০ বছর বয়সে পৌঁছায়, তখন ন্যূনতম ৪০ শতাংশ পরিমাণ সহ তহবিল থেকে একটি বার্ষিকী পরিকল্পনা নিতে হবে। এই বার্ষিকী পরিকল্পনাটি বিনিয়োগকারীর নিয়মিত আয়ের একমাত্র উৎস হতে পারে। বাকি ৬০ শতাংশ আমানত এককালীন উত্তোলন করা যাবে।
এনপিএস বাজার অনুযায়ী রিটার্ন দেয়। তবে কিছুদিন আগে টায়ার-১ এর ইক্যুইটি অ্যাসেট ক্লাস ৯ শতাংশ থেকে ১২ শতাংশ রিটার্ন পেয়েছে। এনপিএস অ্যাকাউন্টের ৩ বছর শেষ হওয়ার পরেই প্রত্যাহার করা যেতে পারে। টিয়ার -১ এর কিছু পরিস্থিতিতে মেয়াদপূর্তির আগে অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলন করা যেতে পারে। একই সঙ্গে টায়ার-২ এ যে কোনো সময় টাকা তোলা যাবে। একজন বিনিয়োগকারী মেয়াদপূর্তির আগে তহবিল থেকে মাত্র ৩ বার অর্থ উত্তোলন করতে পারেন।