School Summer Vacation: গরমের ছুটি শেষে রাজ্যের নতুন সিদ্ধান্ত, জানুন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কী ঘোষণা

চরম গরমের কারণে এখন বাংলার মানুষের বাড়ি থেকে বেরোনোরটাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। গরমের ছুটির পর স্কুল খুললেও স্কুলে যোগ দিতে পারছে না বহু শিশু। কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে এই…

Avatar

চরম গরমের কারণে এখন বাংলার মানুষের বাড়ি থেকে বেরোনোরটাই দুষ্কর হয়ে উঠেছে। গরমের ছুটির পর স্কুল খুললেও স্কুলে যোগ দিতে পারছে না বহু শিশু। কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে এই একই ছবি দেখা যাচ্ছে। রাজ্যজুড়ে এই সমস্ত স্কুলে গরমের ছুটি শেষ হয়েছে গত ৯ জুন। ১০ তারিখ থেকে অর্থাৎ সোমবার থেকে আবারো নতুন করে পঠন পাঠন শুরু হয়েছে। কিন্তু তাপমাত্রা এবং আবহাওয়ার পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আবারো নতুন করে সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। বুধবার সমস্ত স্কুলে একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যদি স্কুল চায় তাহলে জুন মাসের বাকি দিনগুলিতে স্কুলের সূচি পরিবর্তন করা যেতে পারে। তাপপ্রবাহের কথা মাথায় রেখে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে এই নতুন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি স্কুলের উদ্দেশ্যে।

তবে এক্ষেত্রে আঞ্চলিক আবহাওয়ার কথা মাথায় রেখে তবেই কিন্তু স্কুল সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। যদি সেই এলাকায় গরমের পরিমাণ খুব একটা বেশি না হয় তাহলে কিন্তু সময় পরিবর্তন করা যাবে না। প্রয়োজন পড়লে সকালবেলা স্কুল খোলা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে তাপমাত্রার পরিস্থিতি এবং স্কুলের সমস্ত টাইমিং মেনে তারপরেই কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সোমবার থেকে স্কুল খুললে অতিরিক্ত গরমের জন্য স্কুলে উপস্থিতির হার খুবই কম। সেই সময় থেকেই শিক্ষা দপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছিল, কেন কোন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে না শিক্ষা দপ্তর? সম্ভবত সেই কারণেই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই নির্দেশিকা জারি করল শিক্ষা দপ্তর।

জেলার স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ ছড়িয়েছে শিক্ষা মহলে। অতিরিক্ত গরমের কারণে স্কুলমুখী হচ্ছেন না পড়ুয়ারা। অনেক স্কুল সরকারি কোনো নির্দেশিকা পাওয়ার আগেই সকালবেলা স্কুল চালানো শুরু করে দিয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা অনেক স্কুলে এখনও রয়েছেন এবং সেই কারণে এখনো ক্লাস চালু করা যাচ্ছে না। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী এখনো রয়েছে, সেটা নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে কেন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাখার জন্য কোন বিকল্প রাস্তা করা হয়নি? পশ্চিম বর্ধমান পূর্ব বর্ধমান এবং হুগলি জেলাতে মূলত এই সমস্যা রয়েছে। সেই কারণে হয় সকালবেলা স্কুল চালানো হচ্ছে, নতুবা স্কুল বন্ধ রাখতে হচ্ছে।

About Author