Iphone ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর, এসে গেল নতুন ios18, অ্যাপেল ইন্টেলিজেন্সের সামনে অ্যান্ড্রয়েড ফেল
অ্যাপেল ইন্টেলিজেন্স থেকে শুরু করে নতুন ক্যামেরা ও কন্ট্রোল সেন্টার, সবকিছুই হতে চলেছে একদম ইউনিক
আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তি পেয়ে গিয়েছে অ্যাপলের নতুন আইওএস ১৮। আইফোন ১১ থেকে শুরু করে লেটেস্ট আইফোন ১৬, সব জায়গাতেই আপনারা ios18 আপডেট দেখতে পাবেন। অ্যাপেল ইন্টেলিজেন্স নির্ভর এই আইওএস ১৮ অপারেটিং সিস্টেমে আপনারা আগে তুলনায় অনেক বেশি কাস্টমাইজেশন দেখতে পাবেন। তার পাশাপাশি, এমন কিছু ফিচার আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য আসতে চলেছে, যেগুলো আগে কখনোই ছিল না আইফোনে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এতদিন পর্যন্ত এমন অনেক ফিচার ব্যবহার করতেন যেগুলো আইফোনে থাকেনা। Iphone মূলত এমন গ্রাহকদের টার্গেট করেই তৈরি করা হয়েছে, যারা খুব একটা বেশি কাস্টমাইজেশন পছন্দ করেন না। সেই কারণেই হয়তো অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপেল ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন মেরুর বাসিন্দা। তবে এবার, বিষয়টা অনেকটা আলাদা হতে চলেছে। অ্যাপল ব্যবহারকারীরাও এবার থেকে অ্যান্ড্রয়েড এর মতোই টপ লেভেল কাস্টমাইজেশন দেখতে পাবেন। Ios18 এমন কিছু ফিচার এবং এমন কিছু আপগ্রেডেশন নিয়ে আসতে চলেছে, যেগুলো আপনার iphone ব্যবহার করার এক্সপেরিয়েন্স সম্পূর্ণভাবে পাল্টে দেবে। এমনকি আইফোনকে, ফিচারের দিক থেকে অ্যান্ড্রয়েডের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রাখবে এই আইওএস ১৮। চলুন তাহলে ios18 এর নতুন বৈশিষ্ট্য গুলো বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক।
১. অ্যাপেল ইন্টেলিজেন্স
আইওএস ১৮ আপডেটের সব থেকে বড় হাইলাইট হতে চলেছে এই অ্যাপেল ইন্টেলিজেন্স। পুরনো আইফোনগুলোতে, অ্যাপেল ইন্টেলিজেন্স ফিচার ছিল না। তবে এবার iphone 11 থেকে শুরু করে সমস্ত আইফোনের এই বিশেষ এআই ফিচার আসতে চলেছে। এই নতুন আপডেটের পর আপনারা পেয়ে যাবেন স্মার্ট সিরি, এই আইচালিত লেখার সরঞ্জাম, প্রম্পট থেকে ছবি তৈরি করার ক্ষমতা এবং আরো অনেক কিছু। ভবিষ্যতে কল রেকর্ডিং ফিচারও আসতে চলেছে এই অ্যাপেল ইন্টেলিজেন্স এর মধ্যে। তবে এখনো পর্যন্ত কল রেকর্ডিং ফিচার আসেনি। এর জন্য আপনাদের ১৮.১ আপডেটের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তবে ১৮.১ আপডেটে কিন্তু শুধু কল রেকর্ডিং নয়, অ্যাপেল ইন্টেলিজেন্সের আরো অনেক ফিচার আপনারা দেখতে পাবেন।
২. কাস্টমাইজেশন এর প্রচুর অপশন
এই নতুন আপডেটের মাধ্যমে অ্যান্ড্রয়েডের কাস্টমাইজেশন এর বিষয়টিকে কড়া টক্কর দিতে পেরেছে অ্যাপল। এতদিন পর্যন্ত স্যামসাংয়ের ওয়ান ইউ আই কিংবা চিনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলোর ইউজার ইন্টারফেসের ফিচার দেখে অ্যাপেল ব্যবহারকারীরা হাত কামড়াতেন। তবে এবার অ্যাপেলেও আসতে চলেছে এরকমই কিছু কাস্টমাইজেশন ফিচার। আইকন প্যাকের লুক পরিবর্তন থেকে শুরু করে, ক্লিন ইন্টারফেস, নতুন ডার্ক স্ক্রিন, আইকনের রং পরিবর্তন করার ক্ষমতা, সবকিছুই আপনার স্ক্রিনকে আরো আধুনিক করে তুলতে পারে।
এবার থেকে আপনারা নিজের ওয়ালপেপার এর সাথে টোন মিলিয়ে আইকনে রঙিন টিন্ট দিতে পারবেন। এর পাশাপাশি, আপনারা বিভিন্ন ধরনের মোড তৈরি করতে পারবেন, ওয়ালপেপার এর ওপর ভিত্তি করে। এছাড়াও আপনি কাস্টমাইজ হোম স্ক্রিন তৈরি করতে পারবেন যেটা এতদিন পর্যন্ত তৈরি করা যেত না। আপনি হোমস্ক্রিনে long tap করে উপরের দিকে বাঁদিকে এডিট বাটনে ক্লিক করে এই সমস্ত কাস্টমাইজেশন করতে পারবেন।
৩. মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনে বড় আপডেট
যারা অ্যাপেলের মেসেজ অ্যাপটি ব্যবহার করেন তাদের জন্য একটা চমৎকার আপডেট এসেছে। আপনি এবার থেকে মেসেজ সিডিউল করতে পারবেন আপনার মেসেজ অ্যাপ্লিকেশন এর মাধ্যমেই। কোন বিশেষ মানুষকে জন্মদিনের উইশ করা থেকে শুরু করে, কাউকে কোন কাজ মনে করিয়ে দেওয়ার মেসেজ, সবকিছুই খুব সহজে সেট করা যাবে। এর পাশাপাশি, অ্যাপেল নিজেদের ট্যাপব্যাক বৈশিষ্ট্য অনেকটা আপডেট করেছে। এর ফলে আপনি যে কোন ইমোজি মাধ্যমে আপনার বার্তার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবেন। আপনি যদি এমন কেউ হন যিনি সর্বদা লিঙ্ক পাঠান, তাহলে আপনার লিংকের প্রিভিউ কিন্তু খুব সুন্দরভাবে দেখা যাবে মেসেজ এপ্লিকেশনে। অ্যান্ড্রয়েডে এর আগে এরকম ফিচার ছিল। তবে আইফোনের দিক থেকে দেখতে গেলে এটা নতুন।
৪. সম্পূর্ণ নতুন কন্ট্রোল সেন্টার
আইফোনের কন্ট্রোল সেন্টার নিয়ে অনেকের অনেক সমস্যা ছিল এতদিন। কন্ট্রোল সেন্টারে কাস্টমাইজেশন এর কোন অপশনই ছিল না এতদিন পর্যন্ত, যেখানে অ্যান্ড্রয়েডে খুব সহজেই কাস্টমাইজেশন করা যায়। তবে এবার iphone ব্যবহারকারীদের জন্য রয়েছে দারুণ খবর। আইফোনে এবার থেকে আপনারা কন্ট্রোল সেন্টার পরিবর্তন করতে পারবেন। এই নতুন আপডেটের পর কন্ট্রোল সেন্টার তিনটি পেজে বিভক্ত হয়ে আসবে। প্রথমটি, ডিফল্ট কন্ট্রোল সেন্টার যেটা আগে ছিল, দ্বিতীয়টিতে আপনারা মিউজিক প্লেব্যাক দেখতে পাবেন, তৃতীয়টি হল কন্ট্রোল সেন্টারের একটা সিম্পল ভার্সন। এই তিনটি পেজের মধ্যে সোয়াইপ করা খুব সহজ হতে চলেছে। আপনার যে অ্যাপ্লিকেশনের যে কন্ট্রোল বাটন দরকার, সেগুলোকে আপনি এখন আপনার কন্ট্রোল সেন্টারে নিয়ে আসতে পারবেন। এর ফলে আপনার ফোন আপনার জন্য আরো ভালো হয়ে উঠতে পারবে।
৫. টর্চের ক্ষেত্রে বড় আপডেট
এবার থেকে আপনারা টর্চ অ্যাপ্লিকেশনে বেশ কিছু বিষয় কন্ট্রোল করতে পারবেন। আপনার টর্চের আলো কতটা জোরালো হবে, কতটা দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়বে, সবকিছুই এবার কন্ট্রোল সেন্টারের টর্চ আইকনে ক্লিক করে আপনারা আলাদা করে সেট করতে পারবেন। এর ফলে আপনার ফোনের ব্যবহার যোগ্যতা আরো ভালো হয়ে উঠবে।
৬. প্রাইভেসি
আইফোন মানুষজন ব্যবহার করেন মূলত প্রাইভেসির কারণেই। তবে ডেটা প্রাইভেসি থাকলেও অ্যাপ লক এর কোন ফিচার এতদিন পর্যন্ত আইফোনে ছিল না। তবে এবার কিন্তু আইফোনে আসতে চলেছে অ্যাপ লক ফিচার। আপনারা ফেস আইডি ব্যবহার করে আপনার অ্যাপ লক করতে পারেন, অথবা আপনার অ্যাপ একেবারেই লুকিয়ে দিতে পারেন। যদি আপনি অ্যাপ একেবারেই লুকিয়ে দেন, তাহলে সেটা আপনারা দেখতে পাবেন অ্যাপ ড্রয়ারের মধ্যে। তবে, ফেস আইডি ব্যবহার করেন, তাহলেই কিন্তু আপনি সেই অ্যাপ হিডেন ফোল্ডারে দেখতে পাবেন। অন্য কোন ব্যক্তি কিন্তু আপনার হিডেন ফোল্ডারের একটি অ্যাপও দেখতে পাবে না, এতটাই সিকিউরিটি আসতে চলেছে আইফোনে।
আরো একটি নতুন ফিচার আসতে চলেছে যেটা, অ্যান্ড্রয়েডে কিন্তু নেই। যদি কোন অ্যাপ আপনার কাছ থেকে কোন পারমিশন চায়, সেক্ষেত্রে আপনি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট অ্যাপ্লিকেশনের ক্ষেত্রে এক্সেস দিতে পারবেন। একাধিক অ্যাপ্লিকেশনের জন্য এক্সেস আপনাকে দিতে হবে না। অর্থাৎ আপনার সম্পূর্ণ পরিচিতি কোনভাবেই কোন অ্যাপের কাছে যাবে না। যখন প্রয়োজন তখনই আপনি অ্যাক্সেস দেবেন এবং প্রয়োজনে সরিয়ে দেবেন।
৭. ফটো অ্যাপের নতুন ফিচার
আগে অ্যাপেলের ফটো এপ্লিকেশনটি একেবারে সাদামাটা দেখতে ছিল। তবে এবার কিছু নতুন বিষয় আসতে চলেছে এই অ্যাপে। সাধারণভাবে ফটো এপ্লিকেশনে বিভিন্ন ধরনের ট্যাব ও পেজ থাকতো আগে। তবে এবার একটি পেজের মধ্যেই সমস্ত ট্যাব রাখা হচ্ছে। সাম্প্রতিক ট্রিপ থেকে শুরু করে মানুষ, আপনার পোষা প্রাণী এবং আরো অনেক রকমের গ্রুপ আপনারা পেয়ে যাবেন। এছাড়া ওয়ালপেপার সাজেশন এর মত ফিচার রয়েছে এই অ্যাপে। আপনি নিজের মত ট্যাব সেট করতে পারবেন এবং যেটা আপনার আগে দরকার সেটা আপনি আগে রাখবেন। তবে এই নতুন অ্যাপ ব্যবহার করতে এবং এই অ্যাপের সাথে হাত সেট করতে আপনার একটু সময় লাগবে।
৮. লকস্ক্রিন বাটন কাস্টমাইজেশন
এমনিতে লক স্ক্রিনে কিন্তু এতদিন পর্যন্ত আপেলে দুটো বাটন থাকতো। প্রথমটি হলো টর্চ এবং দ্বিতীয়টি হল ক্যামেরা। এই দুটি বাটনকেই এখন আপনারা লক স্ক্রিন থেকে সরিয়ে দিতে পারবেন। আপনার যদি একেবারে ক্লিন লুক পছন্দ হয়, তাহলে আপনি দুটি বাটনকেই সরিয়ে দেবেন। আর যদি আপনার অন্য বাটনের প্রয়োজন হয়, তাহলে লক স্ক্রিনের উপরে ট্যাপ করে নতুন আইকন যোগ করতে পারবেন।
৯. আই ট্র্যাকিং ফিচার
অ্যাপেল এই ফিচারটি ঘোষণা করার পর থেকেই আপেল ব্যবহারকারীদের মনে একটা উত্তে জন্য দেখা দিয়েছে। এই ফিচার এর মাধ্যমে আপনি ফোনটিকে স্পর্শ না করেই শুধুমাত্র চোখ দিয়ে আপনার ফোন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। এটা কাস্টমাইজ করতে গেলে, আপনার ফোনের সাথে আপনার চোখ খুব ভালোভাবে সেট হতে হবে। তারপরেই আপনি এই নতুন কাস্টমাইজেশন ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন। তবে সবার পক্ষে এই ফিচার ব্যবহার করা হয়তো একটু কঠিন হবে।
১০. রিমোট এক্সেস
আপনি যদি অ্যাপেলের ফেস কলিং ব্যবহার করে কল করেন তাহলে কিন্তু এবার থেকে আপনারা আপনার ফোনের রিমোট এক্সেস অন্য মানুষকে দিতে পারবেন। ধরা যাক আপনার বাড়িতে আপনার বয়স্ক বাবা-মা রয়েছেন, যারা ফোন খুব একটা ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারেন না। কিন্তু এই মুহূর্তেই তাদের কোন একটা কাজ করার দরকার পড়ছে, অথচ তারা কোনভাবেই করতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে আপনি এই ফেস কলিং ব্যবহার করে তাদের কাছ থেকে তাদের ফোনের রিমোট এক্সেস নিতে পারবেন। এরপর আপনি নিজে তাদের ফোন কন্ট্রোল করতে পারবেন খুব সহজে, আপনি যতই দূরে থাকুন না কেন। তাদের ফোন দিয়ে সমস্ত কাজ আপনি করতে পারবেন এবং তাদের ফোন আপনি পুরোপুরিভাবে ব্যবহার করতে পারবেন বলা যেতে পারে। তবে এটা শুধুমাত্র অ্যাপেল থেকে অ্যাপেল ডিভাইসেই কাজ করবে।
১১. সাফারি ব্রাউজিং অ্যাপ
আপনি যদি একজন সাফারি ব্যবহারকারী হন তাহলে, এবার থেকে শুধুমাত্র ওয়েবসাইট হাইলাইটে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গান সিনেমা অথবা টিভি শো দেখতে পাবেন। সাফারি অ্যাপ আগে খুব একটা বেশি মানুষ ব্যবহার করতেন না। সবাই বেশিরভাগ সময় ক্রোম ব্যবহার করতেন। তবে এই নতুন ফিচারটি কিন্তু সাফারি অ্যাপ এর ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের সংখ্যা নিঃসন্দেহে অনেকটা বাড়িয়ে দেবে।
১২. নতুন ইমোজি বদলে দেবে চ্যাটিং অভিজ্ঞতা
আপনি যদি instagram এবং হোয়াটসঅ্যাপের মতো মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনে বেশি সময় অতিবাহিত করেন তাহলে আপনার জন্য রয়েছে একটা দারুন খবর। এবার কিন্তু আইফোনে আসতে চলেছে একেবারে নতুন ইমোজি ফিচার। আপনি যদি বেশি টেক্সট করতে অথবা ইমোজি পাঠাতে পছন্দ করেন, তাহলে এই নতুন ইমোজি আপনার চ্যাটিংয়ের অভিজ্ঞতা বদলে দিতে পারে। পাশাপাশি, এবার থেকে আপনারা আপনার মেসেজ দেখা হয়েছে কিনা সেটাও দেখতে পাবেন খুব সহজে।
১৩. গেমিং মোড এবং আরসিএস-এ কি পাবেন
যারা ম্যাকবুক ব্যবহার করেন, তাদের জন্য এই ফিচারটা কার্যকরী হতে পারে। এবারে আপনারা আইফোনেও গেমিং মোড পেয়ে যেতে পারেন, যার মাধ্যমে আপনারা খুব সহজে হাই ফ্রেম পার সেকেন্ড রেটে গেমিং করতে পারবেন। ব্যাকগ্রাউন্ডের সমস্ত কাজ বন্ধ করে, শুধুমাত্র গেমিং এর উপরে অতিরিক্ত জোর দেওয়া হবে, ফলে আপনার গেমিং এর অভিজ্ঞতা ভালো হবে এবং যদি আপনার কাছে নতুন প্রসেসরের আইফোন থাকে, তাহলে আপনারা রে ট্রেসিং ব্যবহার করা গেমও তাহলেই খেলতে পারবেন।
অন্যদিকে আরসিএস এর ব্যাপারে কথা বললে, এটি হলো একটা নতুন ফিচার যা আইফোন এবং অ্যান্ড্রয়েড এর মেসেজিং অ্যাপ্লিকেশনে কাজ করবে। এর মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী বন্ধুর সাথে আরও ভালোভাবে মেসেজের মাধ্যমে কানেক্ট হতে পারবেন। আরসিএস যদি আপনার বন্ধু ব্যবহার করেন, তাহলে আপনি আইফোনের মাধ্যমেও দেখতে পারবেন আপনার মেসেজ দেখা হল কিনা।
১৪. ক্যামেরা অ্যাপ এর নতুন বৈশিষ্ট্য
নতুন ক্যামেরা অ্যাপে আপনারা এবারে পাঁচ সেকেন্ডের টাইমার পেয়ে যেতে চলেছেন। এতদিন পর্যন্ত শুধুমাত্র ৩ সেকেন্ড এবং ১০ সেকেন্ডের টাইমার ছিল। তবে এবার ৫ সেকেন্ডের টাইমার যোগ করা হলো ক্যামেরা অ্যাপ্লিকেশনে। এছাড়াও এই নতুন ক্যামেরা অ্যাপের মাধ্যমে আপনারা অনেক ভাল কোয়ালিটির ছবি তুলতে পারবেন। সঙ্গে এই ভিডিও তোলার ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নতুন আপডেট দেওয়া হয়েছে। আপনারা এবার থেকে হাই কোয়ালিটি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন একদম সহজে। এছাড়াও ভিডিও এডিট থেকে শুরু করে অন্যান্য বৈশিষ্ট্যের ক্ষেত্রেও আইফোন হতে চলেছে অত্যন্ত ইউনিক। ফলে যদি আপনার কনটেন্ট ক্রিয়েশনের দিকে মন দেওয়ার ইচ্ছা থাকে, তাহলে আইফোনের এই নতুন বৈশিষ্ট্য আপনার মন ভরিয়ে দেবে।
১৫. নতুন স্টাইলের অ্যানিমেশন ও আরো অনেক কিছু
এই নতুন ios18 আপডেটে আপনারা নতুন স্টাইলের অ্যানিমেশন পেয়ে যাবেন যা এর আগে কোন ধরনের ফোনে ব্যবহার করা হয়নি। যদি আপনারা ফিজিক্যাল বাটনে ট্যাপ করেন, তাহলে দেখবেন স্ক্রিনের উপর এক ধরনের অ্যানিমেশন শো করছে। এটা এর আগে কিন্তু কোনো ফোনে দেখা যায়নি। পাশাপাশি এবার থেকে আপনারা, কন্ট্রোল সেন্টারেই আইফোন পাওয়ার অফ করার অথবা রিস্টার্ট করার বাটন পেয়ে যাবেন। এরকম ফিচারও কিন্তু আইফোনে একেবারে প্রথম।