UPI Transaction: আর পাবেন না বিনামূল্যে, UPI লেনদেনে এবার থেকে লাগবে চার্জ
ইউপিআই এর আগমনের ফলে সারা ভারতে টাকা পাঠানোর পদ্ধতির যেন একেবারে আমূল পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। সবাই এখন নগদ ছেড়ে এই অনলাইন মানি ট্রান্সফারের উপরে ভরসা করছেন। সম্প্রতি এই নিয়ে সারা দেশে হয়ে গেল একটি সমীক্ষা। বর্তমানে সারা ভারতে একেবারে সিঙ্গেল ডিজিট পেমেন্ট এর জন্যও লোকে ইউপিআই ব্যবহার করতে চাইছেন। আর এটাতেই সমস্যা হয়ে যাচ্ছে ইউপিআই পরিষেবকদের। ইউপিআই ভারতে দ্রুত জায়গা করে নিলেও, এবার শোনা যাচ্ছে নাকি, ইউপিআই পেমেন্টের ক্ষেত্রে এবার থেকে দিতে হবে চার্জ। অতিরিক্ত চার্জ এবারে গুনতে হবে যদি আপনি খুব কম টাকার পেমেন্ট করেন। চলুন তাহলে এর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
৭৫ শতাংশ লোক বন্ধ করবেন ইউপিআই ব্যবহার
বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সারা ভারতে ইউপিআই ব্যবহারের জন্য কোন অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া হয় না। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে প্রায় ৩৭ শতাংশ মানুষ তাদের মোট খরচের ৫০ শতাংশ ইউপিআই এর মাধ্যমে করে থাকেন। ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড এবং ডেবিট কার্ড এর ব্যবহার একেবারেই কমে গিয়েছে। কিন্তু এরকমটা টার্গেট কখনোই ছিল না ইউপিআই এর ক্ষেত্রে। ইউপিআই দিয়ে টাকা পাঠাতে গেলে একটা চার্জ দরকার পড়ে। কিন্তু ভারত সরকার এই চার্জ আগে গ্রহণ করত না। তবে যেভাবে যথেচ্ছ হারে ইউপিআই এর ব্যবহার বাড়তে শুরু করেছে, তাতে অদূর ভবিষ্যতে ইউপিআই এর ক্ষেত্রে চার্জ নেবার সম্ভাবনা রয়েছে। এই মুহূর্তে ভারতের ২২ শতাংশ মানুষ ইউপিআই ব্যবহারে চার্জ দিতে ইচ্ছুক। তবে ৭৫ শতাংশ মানুষ কিন্তু এর তীব্র বিপক্ষে রয়েছেন।
লেনদেনের পরিমাণ হয়েছে দ্বিগুণ
ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার তথ্য অনুসারে, ২০২৩-২৪ আর্থিক বছরে ইউপিআই লেনদেনের পরিমাণ ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। অর্থাৎ, ভারতের অধিকাংশ মানুষ কিন্তু এখন কার্ড কিংবা ক্যাশ ছেড়ে, ইউপিআই ব্যবহারের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। মূল্যের দিক থেকে দেখতে গেলে, ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে যেখানে ৮৪ বিলিয়ন টাকা ইউপিআই এর মাধ্যমে পেমেন্ট করা হয়েছিল সেখানেই গত অর্থ বছরে এই সংখ্যা পৌঁছেছে ১৯৯.৮৯ ট্রিলিয়ন টাকায়। ফলে ভারতের অর্থনীতি এগিয়ে আসার পাশাপাশি, ভারতের ক্রেতাদের কেনার ক্ষমতাও বেড়েছে। তবে এই Upi আসার ফলে কিন্তু অনেকেই বেশি খরচ ও করছেন এবং অতিসাধারণ পেমেন্ট যেগুলো কয়েনে করা যায়, সেগুলোকেও UPI এর মাধ্যমে করছেন। ফলে সব মিলিয়ে বিষয়টা সাধারণ গ্রাহকদের পাশাপাশি, ভারত সরকারের জন্যেও বেশ সমস্যার হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদিও, ফি নেওয়ার ব্যাপারে এখনো পর্যন্ত ভারতীয় অর্থ মন্ত্রকের তরফ থেকে বিস্তারিত ঘোষণা করা হয়নি।